Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

মিরাজের ঘুর্ণিতে বিশাল রানের ব্যবধানে টাইগারদের জয় খেলাধুলা

মিরাজের ঘুর্ণিতে বিশাল রানের ব্যবধানে টাইগারদের জয়

শেষ দিন যতটা দ্রুত জয়ের আশা দেখেছিলো বাংলাদেশ ততটা সহজে জয় পায়নি স্বাগতিকরা। তবে সিরিজ ও লজ্জা থেকে বাঁচতে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের আর সেটিই করলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বাহিনী। সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘুর্ণিতে ২২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। শেষ ৪ শিকার নিয়ে মিরাজের সংগ্রহ ৫ উইকেট।

বাংলাদেশ হয়তো ইনিংসের ব্যবধানেই পরাজিত করতে পারতো। কিন্তু সেই পথে হাটেনি মুশফিক-মুমিনুলরা। বাংলাদেশের ৫২২ রানের পাহাড়ের সামনে ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলোঅন পেয়েও জিম্বাবুয়কে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৪ রানের সংগ্রহের পর ৪৪৩ রানের রানের বিশাল লক্ষ্য সামনে দেয় বাংলাদেশ।

দুর্ভেদ্য টার্গেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাসাকাডজা ও ব্রিয়ান ছেইরি মিলে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু মিরাজ-তাইজুল সেই লড়াইটা ততদূর যেতে দেননি। দলীয় ৬৮ আর ৭০ রানের এই জুটিকে ফিরে দিয়ে স্বস্তি এনে দেন তারা। এরপর আর কোনো উইকেটের দেখা না পেলে ২ উইকেটে ৭৬ রানের স্কোর নিয়ে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে।

এই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের পঞ্চম দিন বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয়। শন উইলিয়ামসকে নিয়ে টেইলরের শুরুটা বেশ সাবধানই ছিল। কিন্তু দিনের ৯ম ওভারে উইলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এর ১০ ওভার পরেই সিকান্দার রাজাকে নিয়ে টেইলরের লড়াইটাও থামিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম।

কিন্তু ক্রিজে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকা টেইলরকে ফেরাতে পারেনি কেউ। ফলে মুরকে নিয়ে শক্ত প্রতিরোধই গড়ে তুলে ৪১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলে ১৬১/৪ স্কোর নিয়ে লাঞ্চ বিরতে যায় টেইলর।

লাঞ্চ বিরতি শেষে আবার যখন ব্যাটিংয়ে নামলো জিম্বাবুয়ে, তখন বেশিক্ষণ সময় নেননি টাইগার স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মুরকে ফিরিয়েছেন দলীয় ১৮৬ রানে। ইমরুলের হাতে তালু বন্দি হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ১৩ রান।

মুরের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রেগিস চাকাভা। মিরাজের ওভারেই রান আউটের শিকার হয়ে মুর ২ রান করেন। আর ডোনাল্ড ট্রিপানো তো এসেই ফিরে গেছেন। মিরাজের তৃতীয় শিকার হয়ে শূন্য রানেই বিদায় ট্রিপানোর। মাবুতাও ফিরেছেন দ্রুতই, তিনি শূন্য রানেই মিরাজের শিকার। জার্ভিস যখন শর্টফিল্ডে খালেদের হাতে ধরা তখন অপর প্রান্তে সেঞ্চুরিয়ান টেইলর টাইগারদের জয়ের উল্লাস দেখলেন। জার্ভিসের উইকেট দিয়ে চাকাভার রান আউট ছাড়া শেষ ৪টিই শিকার মিরাজের।