Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কলেজের জন্য নির্ধারিত স্থানে ঝালকাঠি

পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কলেজের জন্য নির্ধারিত স্থানে

ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমী ভবনের সামনে থেকে ওয়েল ডিপোতে যাবার রাস্তার পূর্ব পাশে পৌরসভার পরিত্যক্ত জায়গাটি বরাদ্দ দেয়া হয় বেগম ফিরোজা আমু ঝালকাঠি টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের জন্য। এরই অদূরে রয়েছে তাবলিগ মারকাজ মসজিদ ও হেফজ খানা, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী টেকনিক্যাল কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, পৌর মিনি পার্ক ও আবাসিক এলাকা। কলেজের জন্য বরাদ্দ দেয়া পৌরসভার পরিত্যক্ত জায়গায় প্রায় ৮ বছর ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। তারই পাশে রয়েছে ২০ বছরের পুরাতন ও দামী বেশ কয়েকটি মেহগনি গাছ। ময়লা আবর্জনার বিষাক্ততায় সেখানের ৭টি মেহগনি গাছ শুকিয়ে মারা গেছে। 

ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে প্রধান সমস্যা হচ্ছে জেলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র শিল্পকলা একাডেমী ভবনে আসা সাংস্কৃতিক কর্মী ও দর্শক-শ্রোতাদের। পাশাপাশি শিল্পকলা একাডেমী ভবনে পরিচালিত হয় শিশু একাডেমীও। সেখানে কোমলমতি শিশুদের প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয়। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে সংস্কৃতির বিকাশ ও শিশু শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে। অপরদিকে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী টেকনিক্যাল কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়। শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলে যাবার সময় নোংরা দুর্গন্ধে আমাদের পথ চলতে কষ্ট হয়। ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে অনেক সময় কুকুর তার খাবার খোঁজে। এসময় কুকুরে কুকুরে কামড়াকামড়ি করে দৌড়ে রাস্তায় চলে আসে। আমরা ভয়ে সুবিধামতো স্থানে আশ্রয় নেই। স্কুলে যাবার সময় কুকুরের আতঙ্কে থাকি। মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজের নিয়মানুযায়ী আমাদের সাদা ড্রেস পড়ে কলেজে যেতে হয়। কুকুর ময়লা খাবার সময় শরীরে লেগে যায়। আমাদের পাশ দিয়ে যাবার সময় শরীরে নাড়া দিলে আমাদের সাদা ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া কুকুরে কুকুরে কামড়াকামড়ি করে দৌড়ে রাস্তায় চলে আসায় কুকুরের আতঙ্কে থাকি। অপরদিকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনাকারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক, সরকারী দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাজে আগন্তুকরা এ ময়লা আবর্জনার ভাগাড় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম বাকলাই জানান, ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে রাসায়নিক বিষাক্ততায় কয়েকটি বড় মেহগনি গাছ মারা গেছে। গাছ পৌরসভার, বন বিভাগের না। পৌরসভা আমাদের অফিসিয়াল জানালে আমরা গাছের পরিধি ও উচ্চতা মেপে দর নির্ধারণ করে নিলাম প্রক্রিয়ার কাজে সহযোগিতা করতে পারি। ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবু হানিফ জানান, পৌরসভার পরিত্যক্ত নর্দমার জায়গাটিতে ময়লা ফেলে ভরাটের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয় বেগম ফিরোজা আমু ঝালকাঠি টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের জন্য। সেখানে থাকা কয়েকটি মেহগনি গাছ শুকিয়ে মারা গেছে। পৌরসভার মাসিক সবায় বিষয়টি উত্থাপন করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।