গোপালগঞ্জে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা : নারীসহ আহত ১৫ গোপালগঞ্জ / 
গোপালগঞ্জে একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মানকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ একটি সংখ্যালঘু পরিবারের আন্ততঃ ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে শহরের শহরের আমেনা স্কুল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, বিজলী বিশ্বাস (৫৫), সজল বিশ্বাস (৩০), শান্তিলতা বিশ্বাস (৫৫), বিনু রানী বিশ্বাস (৬০), সজীব বিশ্বাস (৪২), স্বপ্না বিশ্বাস (৩৫), মোহনা বিশ্বাস (২৫), বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস ওরফে ভোম সাধু (৭৫), শিব নাথ বিশ্বাস (৭০), ক্ষমা বিশ্বাস (২৫) ও রবি নন্দ বিশ্বাস (৩০)। আহতরা স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে।
হামলার শিকার সজিব বিশ্বাস বলেন, ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তার বাড়ীর সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী ইস্্রাফিল সরদার লোহার রড ও লাঠি-সোটাসহ ১০-১৫ জন লোক নিয়ে আমার বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে নারী-পুরুষ সকলকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হামলায় আহতরা গোপালগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে এসে অভিযোগ করে বলেন, আমরা ওই এলাকার আদি বাসিন্দা। মাত্র কয়েক বছর আগে ইস্্রাফিল সরদার এ এলাকায় চার শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে পাঁচ তলা ভবন নির্মান করেন। এরপর থেকে সুকৌশলী সংখ্যালঘুদের জায়গা দখলের চেষ্টা ও নানান প্রকার হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। এর আগেও সে স্থানীয় হিন্দুদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগে তারা বলেন।
ইস্্রাফিল সরদারের সাথে এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ইস্্রাফিল পলাতক রয়েছে। অভিযোগের তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।