Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

বেনাপোলে আমদানিকৃত পণ্য আটকের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ যশোর

বেনাপোলে আমদানিকৃত পণ্য আটকের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল (যশোর) : বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক বিজিবি কতৃক আটকের চেষ্টাকালে ব্যবসায়ী ও কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যেতে পারেনি। পণ্যগুলি কাষ্টমস তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও কাষ্টমসের সাথে বিজিবি’র মৌন উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধায় বেনাপোল বিজিবি-কাষ্টমস যৌথ তল্লাশি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

কাষ্টমস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাস্থ রিধিকা ট্রেডিং নামে এক আমদানিকারক ভারত থেকে ১৯ টন ৫৯৬ কেজি সিনথেটিক ফেব্রিক্স (৪৫৫ প্যাকেজ) আমদানি করেন। যার রফতানিকারক ভারতের মাগাদা নামের একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। পণ্যচালানটি বেনাপোল কাষ্টমস থেকে ছাড় করান মেসার্স সামাদ এন্টারপ্রাইজ নামে একাট সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান। এ পণ্য চালানে সরকারের রাজস্ব দেয়া হয়েছে ৪৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৬৩ টাকা ৬২ পয়সা। পণ্য চালানটি কাষ্টমসের সকল কার্যক্রম সম্পন্নের পর তিনটি ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-০৪৪০, ঢাকা মেট্র্রো-ট-২০-৯৩২৫ ও ঢাকা মেট্র্রো-ট-২০-০০৩৯) বোঝাই করে বন্দর থেকে বের হয়ে কাস্টমসের সামনে স্থাপিত বিজিবি-কাষ্টমস যৌথ তল্লাশি কেন্দ্রে আসলে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ট্রাকে অবৈধ মালামাল আছে বলে জোর করে আমদানি পণ্য বোঝাই ট্রাক তিনটি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় প্রতিবাদ জানালে বিজিবি সদস্যরা সে কথায় কর্নপাত না করে তারা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখান। এরই  মধ্যে বেনাপোলের সকল ব্যবসায়ীরা কাষ্টমসের সাথে একত্মা ঘোষনা করে রাস্তায় নেমে আসে এবং বিজিবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। 

বেনাপোল কাষ্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদ উর রহমান জানান,  কাষ্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ধারা ৯ এবং ১০ হলো বন্ডেড এরিয়া। উক্ত বন্ডেড এরিয়াতে যথোপযুক্ত অফিসার সরকারি কোন কর্মকান্ড প্রক্রিয়াধীন থাকলে সেকশন ৬ এর সাবসেকশন ২ অনুযায়ী কোন সংস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। যেখানে আমাদের কার্যক্রম শেষই হয়নি সেখানে বিজিবি সদস্যরা সম্পূর্ন আইন লংঘন করে বন্ডেড এরিয়া থেকে আমদানিকৃত পণ্য জোর করে নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ন আইন বহির্ভৃত কাজ। 

এ ব্যাপারে বেনাপোল কাষ্টমের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিজিবি আইন লংঘন করে বন্ডেড এলাকা থেকে আমদানি পণ্য আটকের চেষ্টা করলে ব্যবসায়ীরা বাধা দিয়েছে। পণ্য বোঝাই ট্রাক তিনটি কাষ্টমস হেফাজতে রয়েছে। রোববার কমিশনার মহোদয় ষ্টেশনে আসলে সিদ্ধান্ত দিবেন।

এ ব্যাপারে যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ আরিফুল হক জানান, এই তিনটি ট্রাকে আমদানি পণ্যের সাথে  অবৈধ পণ্য আছে এই অভিযোগে আমরা বন্ডেড এরিয়ার বাইরে থেকে ট্রাক তিনটি আটক করে ক্যাম্পে আনার জন্য চেস্টা করি। এ সময় কাস্টমস ও কিছু ব্যবসায়ী বাধা দেয়। পরে কাস্টমসের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমদানিকরা পণ্য বোঝোই ট্রাক তিনটি যৌথ ভাবে তল্লাশি করা হবে এই সিদ্ধান্তে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।