দামুড়হুদায় পাঁচ গ্রামের লোকজন বাশেঁর সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন পারা পার চুয়াডাঙ্গা / 
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামে প্রবেশের ভৈরব নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোরা উপরদিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে প¦ার্শবর্তি পাঁচ গ্রামের বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীসহ সাধারন লোকজন। পাটাচোরা গ্রামটিতে রয়েছে একটি মাধ্যমিক ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামের তিন দিক দিয়ে মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদী বয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর চলা চলের সুবিধার্থে পাটাচোর গ্রামবাসী নিজেদের উদ্দ্যেগে ভৈরব নদীর উপর বাসের সাঁকো নির্মান করে।
এই গ্রামটির তিন দিক দিয়ে মাথাভ্ঙ্গাা ও ভৈরব নদী বয়ে যাওয়ায় ঐ গ্রামের যেতে হলে দামুড়হুদা সদর অথবা কার্পাসডাঙ্গা ৮/১০ কিলোমিটার ঘুরে পাটাচোরা গ্রামে যেতে হতো। এক সময় বিদ্যালয়ের ছাত্র /ছাত্রীসহ এলাকাবাসী ঝুকি নিয়ে নৌকায় করে পারা পার করতো। ঐ সময় প্রায়ই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটতো। উপজেলার রঘুনাথপুর, সুবলপুর, বাস্তপুর, আমডাঙ্গা, কানচনতলা ও কেছমতপুর গ্রামগুলো পাটাচোরা গ্রামের ভৈরব ও মাথাভাঙ্গা নদীর তীরবর্তী ২/৩ কিলোমিটারের মধ্যে হওয়ায় প¦ার্শবর্তী গ্রাম গুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা পাটাচোরা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়টিতে প্রায় সাড়ে ৬ শত ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনা করে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ শত ছাত্র-ছাত্রী মাথাভাঙ্গা-ভৈবর নদের অপর পাড়ের। ২০১২ সালে ঐ এলাকার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারন মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে গ্রামের মৃত্যু গোলাম রহমানের উদ্দোগে গ্রাম বাসীর সহায়তায় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যায় করে বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি নির্মান করা হয়। মাথাভাঙ্গা নদীর সংযোগ স্থলে সুবলপুর ভৈরব নদীর উপরের সাঁকোটি প্রায় প্রতি বছরই স্রোতের তোড়ে অথবা বাশ কাবারি নষ্ট হয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে যাতায়াত কারিরা ফলে প্রতি বছর সংস্কার করতে হয় ঐ সাঁকো।
দামুড়হুদা সদর ইউপি সদস্য ঐ গ্রামের কুতুব উদ্দীন জানান, প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে পাঁচ গ্রামের সহশ্রাধিক লোক যাতায়াত করে থাকে। বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, বিদ্যুৎ, রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শুধুমাত্র ভৈরব নদীর উপর ব্রীজ নির্মান করা হলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার আর কোন সমস্যা থাকবেনা। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা- ২আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর ব্রীজ নির্মানের প্রতিশ্রæতি দিলেও কোনকাজ হয়নি। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট বাসের সাকোঁর স্থানে ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন।