Opu Hasnat

আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার ২০২৪,

পাইকগাছায় পিতা পুত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা খুলনা

পাইকগাছায় পিতা পুত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা

পাইকগাছায় দুর্বৃত্তরা পিতা পুত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে রক্তাক্ত জখম করেছে। তারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় ৯ জন কে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা করার পর আসামীরা বাদীকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে। 

এলাকাবাসী ও থানার মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কাটাবুনিয়া গ্রামের মৃত আনছার সরদারের পুত্র আব্দুল মালেকের সাথে একই গ্রামের আলহাজ্ব মোজাম সরদারের পুত্র রাজ্জাক সরদারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন মনোমালিন্য চলে আসছিল। তারই সুত্র ধরে সোমবার সকালে মালেক পার্শ্ববর্তী ফেদুয়ার আবাদ তাদের মৎস্য লীজ ঘের হতে বাড়ী ফেরার পথে মৌখালী চাঁদখালী রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে তাদের বাড়ীর নিকট পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা রাজ্জাক ও তার বাহিনী লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে নিয়ে মালেকের উপর আক্রমন করে। তাদের আক্রমনে মালেকের হাত পা ভেঙ্গে যায় এবং কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম পূর্বক মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রাজ্জাক, পুত্র কবির ও তাদের বাহিনী ঘটনা স্থল ত্যাগ করতে থাকে। এমন সময় মালেকের পুত্র মাহফুজ সিমেন্ট কিনতে বাড়ী থেকে বের হয়ে মৌখালী বাজারের উদ্যেশে রওনা দেয়। সে ঘটনা স্থলে পৌঁছালে রাজ্জাকের লোকজন মাহফুজকে দেখা মাত্রই তার উপরও আক্রমন করে তার হাত ও হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রাখে। তাদের আক্রমন ১৯৭১ সালকেও হার মানিয়েছে বলে প্রতক্ষ্য দর্শীরা জানান। 

সংবাদ শুনে পাইকগাছা থানা পুলিশ ও চাঁদখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুনছুর আলী গাজী ঘটনা স্থলে যেয়ে আহত পিতা পুত্রকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থা আশংকাজনক দেখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় মলেকের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী সুফিয়া বাদী হয়ে দুর্বৃত্ত রাজ্জাক, কবির ও আল আমিন, তার সহযোগী এলাহী গাজী, জোনাব গাজী, আসাদুল গাজী, দাউদ সরদার, মেহেদী হাসান ও তরিকুল সানাকে আসামী করে থানায় জি,আর ৪১২/১৮নং মামলা করেছে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই নাজমুল জানান, ঘটনা মর্মান্তিক, আসামী গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় বাদী ও স্বাক্ষীরা রয়েছে চরম আতংকে। স্বাক্ষীদের বাড়ী বাড়ী যেয়ে হুমকি অব্যহত রেখেছে রজব ও দাউদ।