আন্তঃনগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভিডিও ধারণ করতে ট্রেনে কাটা পড়ে ফাহিম আরমান সাজ্জাদ (২২) নামে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর দু পা হারায়। সাথে থাকা বন্ধু ও স্থানীয় জনতা তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রায় ৭ ঘন্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার রাতে সাজ্জাদ মৃত্যুবরণ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফাহিম আরমান সাজ্জাদ কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর এলাকার মৃত আমিনুল হক তপনের ছেলে। সে ঢাকার একটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের জন্য এ ভিডিওচিত্র ধারণ করছিল বলে জানা যায়। সাজ্জাদ নিয়মিত ইউটিউবে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ভিডিও আপরোড দিয়ে থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্র মোতাবেক জানা যায়, ২১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ রেলষ্টেশনের প্লাটফর্মে দাড়িয়ে থেকে ছেড়ে আসা অন্তঃনগন কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ভিডিও ধারণে মগ্ন থাকা অবস্থায় সাজ্জাদের কাছাকাছি চলে আসায় অন্যরা চিৎকার দিয়ে সাজ্জাদকে বাচাঁতে চেষ্টা করলেও তার দূপা ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এতে তার এক পা হাটুঁর নিচ থেকে আর অন্য পা উরুর নিচ থেকে কাটা পড়ে। কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল আজম জানান, ঝুঁকিপূর্নভাবে ভিডিও ধারণ করার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।