Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

জামাইকে ফাঁসাতে শাশুড়ির অভিনব কৌশল

দুর্গাপুরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ২ নেত্রকোনা

দুর্গাপুরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ২

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গত ১৫ অক্টোবর রাতে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামে কালী মন্দিরে রক্ষিত ৩টি কালী মুর্তি, ভেঙ্গে ফেলায় আসামী গ্রেফতার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্যের ভিত্তিত্বে শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর পুলিশ প্রশাসন এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপুর রেঞ্জ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, শাহ শিবলী সাদিক জানান, ঘটনার দিন মন্দির থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করে, পুর্বধলা উপজেলার সোয়াইব নামক এক যুবককে গ্রেফতার করলে এই ঘটনার মুল তথ্য উদঘাটন হয়। মুলতঃ সোয়াইব ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার মাহাদীপুর গ্রামের আহসানুল করিম খানের, মেয়ে মিথিলা কে বিয়ে করে। বেশ কিছুদিন স্ত্রী ও শশুরবাড়ীর সাথে গরীবের সন্তান সোয়াইব এর সম্পর্ক ভালো না থাকায় তাঁকে ফাঁসাতে মিথিলার পুর্বের প্রেমিক কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গন্ডাবের গ্রামের আব্দুল মান্নান এর পুত্র নাঈম (২৫) কে দিয়ে সোয়াইব এর শাশুরী পারভীনা আক্তারের নির্দেশে কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংগায়। বিভিন্ন তথ্য ও পুলিশের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এবং দুর্গাপুর থানার চৌকশ পুলিশের দল ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে পারভীনা আক্তার ও নেত্রকোনা সদর থেকে নাঈম কে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। এ নিয়ে ১৮তারিখ বিকেলে নেত্রকোনায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোঃ জুলফিকার হোসাইন রনি এর আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আসামি পারভিনা খাতুন ও নাঈম চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার স্বীকারোক্তি করে। এ বিষয়ে ধারা- ২৯৫/৩৪ ধারায় মামলা রুজুর পরই মামলার সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ এর ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি ও নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী এর তত্বাবধানে এবং অতিঃ পুলিশ সুপার জনাব আশরাফুল আলম (প্রশাসন) এর দিক নির্দেশনায়, নেত্রকোনা ডিবি পুলিশ ও দুর্গাপুর পুলিশের যৌথ ষাড়াশি অভিযানে মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই মূল আসামিদের গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ওসি মিজানুর রহমান, (ওসি তদন্ত) আবুল বাশার, সাবইন্সপেক্টর মাহাবুবুল আলম, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, মো. আসাদুজ্জামান, মো. মজিবুর রহমান সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য অফিসার গন। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে শিবলী সাদিক জানান, ইতোমধ্যে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলা সকলের সহযোগিতায় নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমার সুযোগ্য পুলিশ অফিসারদের নিয়ে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবো। এ ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করায় দুর্গাপুর পুলিশ প্রশাসনকে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, দুর্গাপুর বনিক সমিতি, স্থানীয় সুশিল সমাজ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দুর্গাপুর উপজেলাকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে এ ধারা বজায় রাখার অনুরোধ জানান।