ঝালকাঠি শহরের তুলা পট্টিতে ব্যস্ত লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা ঝালকাঠি / 
শরত কালের প্রথম কার্তিকের সকালে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। সেই সাথে ধুম পরেছে লেপ- তোষক তৈরির। আর অল্প কিছু দিন পরেই জেঁকে বসবে শীত। এবার শীতের আমেজ আগেই টের পাওয়ায় জনসাধারণ ভিড় জমাতে শুরু করেছে লেপ তোশকের দোকানে। তুলা, লেপের কাপড়, ফোম এবং মজুরী গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশী বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝালকাঠির তুলা পট্টিতে তুলা দিয়ে তৈরী লেপ বানানোর মজুরির পাশাপাশি বেড়েছে তুলা ও কাপড়ের দাম। এসব দোকানে দিন দিন বেড়েই চলছে লেপ-তোশক ক্রেতাদের ভিড়। পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোশক তৈরী কারিগরদের। তুলা পট্টির প্রতিটি দোকানে এখন ১০/১৫টি লেপ তোশক তৈরী হচ্ছে। এদিকে শীত বস্ত্র বিক্রির দোকানেও ভিড় ও কেনাকাটা জমে উঠতে শুরু করেছে। একাধিক লেপ-তোশক দোকান মালিকরা জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার তুলার দাম বেশি। ঝালকাঠির তুলাপট্টির রহিম স্টোর মালিক শাহজাহান সিকদার জানান, আটি তুলা ২৫০ টাকা, থ্রেড তুলা ১৫০ টাকা, উইল তুলা ৬০ টাকা, ফোম তুলা ১৪০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা ৪০ টাকা, লেপের সুতার রোল প্রতিটি ৬০ টাকা, তোশকের তুলার রোল ৫০ টাকা। শিমুল তুলার কেজি ৩২৫ টাকা। শিমুল তুলার উৎপাদন ভালো হওয়া গত বছরের তুলনায় এ বছর শিমুল তুলার দাম কমেছে। গত বছর ছিল প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা। লেপের কাপড় গত বছর গজ বিক্রি হত ১৫০ টাকা, এবার ১৯০ টাকা।
এছাড়া ৪-৫ হাত মাপের তৈরী লেপ ১ টি গত বছর বিক্রি হয়েছে ১৬০০ টাকা এবার ২০০০ টাকা। একই মাপের তোশক গত বছর ছিলো ২১০০টাকা, এবার ২৫০০ টাকা। এছাড়া নিæ মানের বিভিন্ন গার্মেন্টস তুলা কেজি প্রতি গড়ে ২০/২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর লেপ-তোশক তৈরির মজুরী ছিলো ২৫০ টাকা, এবছর ৩০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় লেপ তৈরির মজুরিও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কারিগররা।