Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

চট্টগ্রামে ১৬টি আসনে ভোটার বেড়েছে প্রায় সোয়া ৭ লাখ চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ১৬টি আসনে ভোটার বেড়েছে প্রায় সোয়া ৭ লাখ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে প্রায় ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্র দু’টোই বেড়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার প্রায় সোয়া ৭ লাখ বেড়ে ভোটার সংখ্যা ৫৬ লাখ ৪১ হাজার ২১৯ জন এবং ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৯টি। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৮৪০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ভোটকক্ষ ছিল ৯ হাজার ৮৬৭টি। ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৯ লাখ ২২ হাজার ৪৭৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৫ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৫ ও মহিলা ভোটার ২৪ লাখ ৭ হাজার ৯০২ জন। 

নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা যায়, নগরের ৬টি সহ ২১টি থানা/উপজেলা নিয়ে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসন। এসব আসনে ১ হাজার ৮৯৯টি কেন্দ্রে এবার ভোটকক্ষ থাকবে ১০ হাজার ৬৮৩টি। নির্বাচন কমিশনের তালিকা অনুযায়ী এবার ভোটার সংখ্যা ৫৬ লাখ ৪১ হাজার ২১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৫৪ জন এবং নারী ভোটার ২৭ লাখ ২৭ হাজার ১৬৫ জন। নগরের ৬টি থানায় ৫৬৫টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৩ হাজার ৪৭৯টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৫ হাজার ৫৪১ জন।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের জন্য ১ হাজার ৮৯৯টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বাড়িয়ে যাচাই-বাছাই করে এসব ভোটকেন্দ্রের জন্য ১০ হাজার ৬৮৩টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত নির্বাচন থেকে বেড়ে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৫৬ লাখ ৪১ হাজার ২১৯ জন।

ভোটকেন্দ্র ও ভোটার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছিলাম। পরে থানা ও উপজেলা পর্যায় থেকে এ খসড়া তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে একাধিক দাবি-আপত্তি জানানো হয়। এসব দাবি-আপত্তি আবেদনের প্রেক্ষিতে নিষ্পত্তিসহ ভোটকেন্দ্র ও ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করায় অনেক তরুণ-তরুণী এবার নতুনভাবে ভোটার হয়েছেন। তাই ভোটার সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

জানা যায়, মোট ভোটারের মধ্যে নগরের পাঁচলাইশে (সিটি করপোরেশনের ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড) ১০১টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৫৬৭টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫৯ জন। চান্দগাঁওয়ে (সিটি করপোরেশনের ৪, ৬, ১৭ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড) ১০০টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৫৯৮টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৪৭ জন।

কোতোয়ালীতে (সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৬, ২০, ২২, ৩১ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড) ৯৯টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৪৪৯টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯১৪ জন।

ডবলমুরিংয়ে (সিটি করপোরেশনের ১৩, ১৪, ২৩, ২৫, ২৭ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড) ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৭৪৩টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন।

পাহাড়তলীতে (সিটি করপোরেশনের ৯, ১২ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড) ৬১টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৪৮৬টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ৯০৪ জন।

বন্দর (সিটি করপোরেশনের ৩৬ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড) থানাধীন ১০১টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৬৩৬টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৭ জন।

অন্যদিকে, মিরসরাই উপজেলার ১০৪টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৬৫০টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৩ জন। ফটিকছড়ি উপজেলার ১৩৬টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৬৯০টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জন। সন্দ্বীপ উপজেলার ৭৯টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৩৬৫টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ২৮৫ জন।

সীতাকুন্ড উপজেলার ৮২টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৫০৪টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৬১৪ জন। হাটহাজারী উপজেলার ১০৬টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৫৫৯টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ জন। রাউজান উপজেলার ৮৪টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৪৫৫টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮২ জন।

রাঙ্গুনীয়া উপজেলার ৮৮টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৪৪৩টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৩ হাজার ১২২ জন। বোয়ালখালী উপজেলার ৭৭টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৩১১টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ২৪৭ জন। পটিয়া উপজেলার ১১১টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৬৭৯টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৭ জন।

কর্ণফুলী উপজেলার ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ২৫৫টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৭৫৭ জন। আনোয়ারা উপজেলার ৬৭টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৪০১টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮২ জন। চন্দনাইশ উপজেলার ৬৮টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৩৫৫টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫ জন।

সাতকানিয়া উপজেলার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৫৭০টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৭ জন। লোহাগাড়া উপজেলার ৫৯টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৩৭৭টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২০ জন। বাঁশখালী উপজেলার ১১০টি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৫৯০টি ভোটকক্ষ এবং ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ০৯ জন।

সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারির আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ লক্ষে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ৮০ ভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর বাকি প্রস্তুতি শেষ হবে ।