পরিচয় মিলেছে কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধারকৃত যুবকের চট্টগ্রাম / 
নগরীর পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় মিলেছে। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার রিপন সিংহ (৩০)। তিনি কোতোয়ালী থানাধীন আসকার দিঘীর পশ্চিম পাড়ের অফিসার্স লেইনের ক্ষুধিরাম সিংহের পুত্র।
পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, রিপন সিংহের বাবা ক্ষুধিরাম সিংহ ছেলের মরদেহ সনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, রিপন আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে মরদেহের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার রাতে পতেঙ্গার চরপাড়া বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন নদীর পাড় থেকে রিপেন সিংহের মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরার কথা ছিল রিপনের শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আসকার দিঘীর পশ্চিম পাড়ের অফিসার্স লেইনের বাসা থেকে বের হয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরার কথা বলেছিলেন রিপেন। সকালের নাস্তা তিনি বাইরে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন পরিবারকে। ওইদিন বিকেলে রিপেন বাসায় না ফেরায় তার বাবা ক্ষুদিরাম সিংহ কোতোয়ালী থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
ক্ষুদিরাম সিংহ বলেন, গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে জরুরী কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হয় রিপেন। বাসায় ফিরতে ১ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিল। পরে তার মোবাইলে ব্যবহৃত দুইটি সিম কার্ডের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেলে কোতোয়ালী থানায় গিয়ে জিডি করি। রাতে পতেঙ্গা থানায় মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে সেখানে গিয়ে রিপেনের মরদেহ শনাক্ত করি। রিপেনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ক্ষুদিরাম সিংহ।