Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

শারদীয় দুর্গা পুজাকে ঘিরে রাজবাড়ীর ৪২১ মন্ডপে এখন সাজ সাজ রব রাজবাড়ী

শারদীয় দুর্গা পুজাকে ঘিরে রাজবাড়ীর ৪২১ মন্ডপে এখন সাজ সাজ রব

শারদীয় দুর্গা পুজাকে ঘিরে রাজবাড়ীর মন্ডপগুলোতে এখন সাজ সাজ রব। মাটির কাজ শেষ এখন চলছে রং তুলির শেষ আচর, সাথে চুল ও কাপর পরানোর কাজ। প্রতীমা কারিগরদের যেন দম ফেলারও সময় নেই। প্রতীমা কারিগরদের কল্পনার অবয়বে ধীরে ধীরে মুক্ত হয়ে উঠছেন দেবী। 

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এ বছর রাজবাড়ী জেলার পাচটি উপজেলায় ৪২১ টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। 

মহাভারত অবলম্বনে স্বর্গ ও নরকের কাহিনীকে ধারণ করে ৩০৫ টি দেব-দেবীর মূর্তি তৈরী করেছে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া জামালপুর- আলোকদিয়া গ্রামে সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে । যা কি না এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ, বাঁশের উপর চতুর্থ তলা বিশিষ্ট মন্ডপ হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ওই মন্ডপকে ঘিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। এখন পুরোদমে চলছে প্রতিমা গুলোতে রং ও তুলির কাজ। দুই এক দিনের মধ্যে পুরোপুরি সেজে উঠবে মন্ডপটি। আয়োজকদের আসা ব্যতিক্রমী, দৃষ্টি নন্দন স্থাপনার কারণেই বিগত বছরের চাইতে এবার আরো বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে এখানে।

প্রতিমা শিল্পীরা জানান, গত ৩ মাস পূর্ব থেকেই তারা ঠাকুর গড়ার কাজ করে চলছেন। সঙ্গে ৪০ জন সহ- শিল্পী কাজ করে আসছেন। ৩০৫ টি প্রতিমার মধ্যে লক্ষণ, শক্তি সেন, অশোক বনের সিতা, লকপুশ কর্তৃক মজ্ঞের ঘোড়া বন্ধন, পিতা-পুত্রের যুদ্ধ, লক পুষ কর্তৃক হুনুমানের বন্ধন, বাল্মিকীমনির রাম লক্ষন অনান্যেদের জীবন দান, কালীর দশ রুপ, দুর্গার ৯ রুপ, করুক্ষেত্রের যুদ্ধ, দ্রৌপদির বস্ত্রহরন, দুর্যধন ভিম দাযুদ্ধ, চার যুগের যুগ অবতর, মহাসমুদ্রে নারায়ন, দেবাদিদেব মহাদেবসহ ৩০৫ টি প্রতিমার পুজা।

আলোকদিয়া দুর্গা পুজার প্রধান পৃষ্টপোষক ও আয়োজক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, রামায়নের কাহিনী, পৌরানিক কাহিনী, করুক্ষেত্রের যুদ্ধ, দ্রৌপদির বস্ত্রহরন, দুর্যধন ভিম দাযুদ্ধ, চার যুগের যুগ অবতর এসব বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে জানানোই তাদের লক্ষ। ঐক্যবদ্ধ সম্মিলিত চেষ্টাই হচ্ছে এই পুজার অনন্য সারমর্ম। 

মন্দির কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র ভট্রাচার্য্য জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এখানে আসলে তাই প্রমানিত হবে কারন এখানে হাজার হাজার মুসলীম, বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলের সহযোগিতায় পুজা সমাপ্ত করা হয়। 

জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গা প্রজাকে সফল করতে জেলা প্রশাসন একাধীকবার সভা  করেছে। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক শওকত আলী সব সময় খোজ খবর নিচ্ছেন। জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের সকল সহযোগিতা  প্রদান করা হচ্ছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি জানান, এ বছর দুর্গা পুজায় বাড়তি  কিছু নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এ বছর পুজা  মন্ডপগুলোকে গুরুত্বপূর্ন, অধিক গুরুত্বপূর্ন ও সাধারন এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সকলকে একটি শান্তিপূর্ন দুর্গা পুজা  উৎসব  উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।