ইউপি চেয়ারম্যানের কক্ষ তল্লাশী, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার বাগেরহাট / 
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা আনছার আলী দিহিদার ও যুবলীগ নেতা শুকুর শেখ হত্যাকান্ড মামলার গ্রেফতাকৃত আসামী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরের কক্ষ তল্লাশী করে বুধবার বিকেলে ৫ টি রামদা সহ একধিক দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ জানায়, দৈবজ্ঞহাটীতে ডাবল হত্যা কান্ডের ঘটনায় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরকে ৫৪ ধারায় আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহত শুকুর শেখের বড় ভাই শেখ ফারুক আহম্মেদ বাদি হয়ে দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকির কে প্রধান করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শহিদুল ইসলাম ফকির কে মঙ্গলবার শোন এরেষ্ট দেখিয়ে পুনরায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আর এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঠাকুরদাস মন্ডলের আবেদন প্রেক্ষিতে ও আদালতের অনুমতি সাপেেেক্ষ পুলিশ শহিদুল ইসলাম ফকিরের পরিষদের ব্যবহৃত কক্ষ তল্লাশী করে। তল্লাশীতে পুলিশ ঐ কক্ষ থেকে ৫টি রামদা, ৩টি চাপাতি, ১টি ছোড়া, ১টি হাতুড়ি, কিছু জিআই পাইপ। থানা অফিসার ইন চার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম উদ্ধারকৃত এসব দেশীয় অস্ত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১অক্টোবর সোমবার বিকেলে চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের নেতৃত্বে তার লোকজন দৈবজ্ঞহাটী বাজার থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যুবলীগ নেতা শুকুর শেখ (৪৫) ও তাঁতীলীগ নেতা বাবুল শেখ (৩৫) কে ধরে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে বোরকা পরিয়ে প্রথমে গুলি করে। পরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। একাধিক গুলি ও মারপিটে ঘটনাস্থলে শুকুর শেখ মারা যায়। বাবুল শেখ কে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাবুল শেখ এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। নিহত শুকুর শেখ জোকা গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে ও প্রয়াত আওয়ামীলীগের এমপি আব্দুল লতিফ খানের খালাতো ভাই।
এরআগে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকির সহ তার সহযোগী চৌকিদার আবুয়াল হোসনে ফকির সহ ৬ জনকে আটক করা হয়। পুলিশ জব্দ করে চেয়ারম্যানের লাইসেন্সকৃত শার্ট গান ও গুলি। আর চেয়ারম্যানের আয়ত্বে থাকা অবৈধ ওয়ান শুটার গান ১টি, দেশী তৈরী পিস্তল ১টি , রিভলবারের ২ রাউন্ড গুলি , ৬ রাউন্ড কার্তুজ ও রক্ত মাখা কুড়াল জব্দ করে।