কিশোরগঞ্জে দেহব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ স্বামী-শ্বশুরের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ / 
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা সদরের মাইজহাটি গ্রামের জাহেদ আলীর পুত্র তারেক মিয়া তার কিশোরী বধুকে (১৪) হাত পা বেঁধে দেহব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ২৪শে সেপ্টেম্বর কিশোরী বধু বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। নির্যাতিত কিশোরী বর্তমানে পিতার তত্বাবধানে রয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় কিশোরীর বাবা একজন দিনমজুর।
অভিযুক্তরা কিশোরীর স্বামী মোঃ তারেক (২৪), শ্বশুর জাহেদ আলী (৫০), দেবর মোঃ শরীফ (২২), শাশুরী চফুরন (৪৫), ফুফাত বোন শিরিন াাক্তার (৩০), ধর্ষক হোসেন মিয়া (৩২), মুসলিম (৪৫), ও সাত্তার (৩৮)।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বিবাহের পর থেকেই স্বামী তারেক মিয়া পরপুরুষের সাথে বাধ্য করত। কিশোরী বধু বাধা দিলে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখত। গত ১৫ই সেপ্টেম্বরকিশোরীর স্বামী মোঃ তারেক তিন ব্যক্তিকে হোসেন মিয়া, সাত্তার ও মুসলিমকে বাড়িতে এনে কিশোরী বধুকে রাত্রীযাপনের প্রস্তাব দিলে কিশোরী রাজী না হওয়ায় দেবর শরীফ, শ্বশুর জাহেদ আলী ও শিরীন আক্তারের সহযোগিতায় ধর্ষকরা কিশোরীর হাত পা বেঁধে অটোরিকশা করে জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গ্রামে একটি ঘরে নিয়ে রাতভর পাশবিক নির্যাতন করে। কিশোরী কোনরকমে হাতে পায়ের বাধন খুলে চিৎকার চেচামেচি করলে এলাকাবাসী ওই বধুকে উদ্ধার করে। ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে কিশোরীর পরিবারকে আদালতে মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিশোরী বধু বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে।