Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

মহানায়িকা সুচিত্রা সেন : সৈয়দা রুখসানা জামান শানু মতামত

মহানায়িকা সুচিত্রা সেন : সৈয়দা রুখসানা জামান শানু

সুচিত্রা সেন, একটি নাম, একটি সন্মান, দু’বাংলার গর্ব। যিনি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী ছিলেন। যাঁর পুরো নাম রমা দাসগুপ্তা। পিতা করূণাময়ী দাসগুপ্তা। মাতা ইন্দ্রিা দেবী। বিখ্যাত কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী ছিলেন সুচিত্রা সেন। বাবা তাঁর পাবনা পৌরসভার স্যানিটেশন কর্মকর্তা ছিলেন। সুচিত্রা সেন জন্মেছেন ৬ এপ্রিল, ১৯৩১ খ্রি: সিরাজগঞ্জ জেলায় তবে বেড়ে উঠেছেন পাবনায়। সে সময় সুচিত্রা সেন পাবনা গার্লস স্কুলে লেখা-পড়া করতেন। করূণাময়ী দাসগুপ্তা পাটিশনের সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পরিবারসহ চলে যান। ১৯৪৭ খ্রি: সেখানে সম্পদশালী ব্যক্তি দিবানাথ সেনের সঙ্গে তাঁর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। এসময় তিনি পাবনা গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। দিবানাথ সেন এবং সুচিত্রা সেনের কোলে একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনের জন্ম হয় ২৮ মার্চ, ১৯৫৪খ্রি:। বিয়ের পর তিনি সিনেমায় অভিনয়ে নামেন। সুচিত্রার সুনিপন অভিনয়ে প্রযোজক যেমন খুশি হতেন তার চেয়েও ঢের বেশি দর্শক আনন্দ পেতেন।

রূপালি পর্দার প্রতিটি চরিত্রকে এতো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলাা সুচিত্রা সেনের পক্ষেই সম্ভব হয়ে উঠেছিল। সাগরিকা থেকে ইন্দ্রাণী, সবার উপরে সপ্তপদী, তার অভিনয়ের দাপট শুধু বাংলা নয়,সারা ভারতব্যাপী বিস্তৃত ছিল। সুচিত্রার ফটোজিনিক ফেস্ এর জন্য তাঁর সিনেমায় অভিনয় চমৎকার হয়ে উঠতে পেরেছিল। মহা নায়ক উত্তম কুমারের সাথে ছবি গুলিতে অভিনয় করে তিনি বাঙালি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ক্লাসিক হয়ে রইলেন।

সুচিত্রা সেন ১৯৬৩খ্রি: মস্কো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে, (আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে) পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি সপ্তপদীর জন্য সেরা অভিনেত্রীর সিলভার পুরস্কার জিতেছিলেন। তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পরও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় চালিয়ে যান। এসময় তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র আন্দি (১৯৭৪) সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন। উত্তম কুমারের ৬০টি চলচ্চিত্র মধ্যে ৩০টিতে তিনি অভিনয় করেছেন। তিনি দেবদাস (১৯৫৫) চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনয়ন পান, যা তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র। তার বাঙ্গালী মেলড্রাম এবং রোম্যান্সেস, বিশেষ করে উত্তম কুমারের সাথে, তিনি সর্বকালের সেরা বাঙালি অভিনেত্রী হয়ে রইলেন।
 
সুচিত্রা সেনের প্রথম অভিনিত ছবি ‘শেষ কোথায়’। এটি ১৯৫২খ্রি: নির্মিত হয়েছিল তবে এ ছবিটি মুক্তি পায় নাই। দ্বিতীয় ছবি ’সাত নম্বর কয়েদী’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। তবে রাতারাতি একজন সুপারস্টারের রূপে পরিণত হন যখন তিনি মহা নায়ক উত্তম কুমারের সাথে প্রথম ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ এ ছবিটিতে অভিনয়ের জুটি বাধেন। একে একে বক্স অফিসের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য দুটি নাম জাদুর মতো কাজ করেছিল। সাড়ে চুয়াত্তর প্রথম হিট ছবি। এরপর থেমে থাকে নাই উত্তম-সুচিত্রা সেনের জুটি। যেমন: অগ্নি পরীক্ষা, মরনের পরে, আলো আমার আলো, প্রিয় বান্ধবী, হারানো সুর, সাগরিকা, পথে হলো দেরী ইত্যাদি। যদিও সুচিত্রা সেনের পূর্ব অভিজ্ঞতা বা অভিনয়ের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল না। তবুও তিনি বাংলা সিনেমায় পরর্বতি নায়িকাদের আইকন হয়ে রইলেন। সুচিত্রা সেন মহানায়ক উত্তম কুমারের সাথে শেষ ছবিতে অভিনয় করেন এবং ছবিটি ছিল ‘প্রিয় বান্ধবী’। ছবিটি মুক্তি পায় ৩’অক্টোবর,১৯৭৫খ্রি:। এরপর উত্তম কুমারের সাথে তিনি আর অভিনয় করেন নাই। 

শেষ ছবি তিনি ১৯৭৮খ্রি: মঙ্গল চক্রবর্তীর প্রযোজনায় সৌমিত্র চ্যাটার্জির সাথে ‘প্রনয় পাশা’ ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি মুক্তি পায় ৮’জুন ১৯৭৮খ্রি: কিন্তু এ ছবিটি ফ্লপ করে যায়। এরপর নানা পত্র-পত্রিকায় এ খবর বেরুলে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মন ভীষন ভাবে খারাপ হয়ে যায়। আর তখনই তিনি নিজেকে আঁড়াল করার চেষ্টায় নেমে পড়েন। ১৯৭৮খ্রি: হতে তিনি ধীরে ধীরে রূপালী পর্দা থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনে সময় দেয়া শুরু করেন। 

উত্তম কুমার ১৯৮০খ্রি: মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে সুচিত্রা সেনের সাথে দেখা করতে যান কিন্তু সুচিত্রা সেন তার ম্যানেজারকে দিয়ে বলে পাঠান তার এখন দেখা করার সময় নাই তিনি এখন ব্যস্ত আছেন। ঠিক এক সপ্তাহ পরে উত্তম কুমার মারা যান। ২৪ জুলাই, ১৯৮০খ্রি: উত্তম কুমার মারা গেলে তখন সুচিত্রা সেন তার মৃতদেহ দেখতে এলেন এবং ধীরে ধীরে তার মুখ স্পর্শ করে চলে গেলেন। সেই দিন থেকেই বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ তারকা সুচিত্রা সেন জন সমুখ্খে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। কোনো ধরনের পাবলিক অনুষ্ঠান বা অন্তীয়-স্বজনের অনুষ্ঠানেও যেতেন না। শুধুমাত্র তার দু-ভাই, (নিমাই দাশগুপ্ত এবংগৌতম দাশগুপ্ত) মেয়ে মুনমুন সেন এবং নাতনী দুটোর সমুখ্খে এবং দু-একজন ছাড়া কারোর সাথেও দেখা কিংবা ফোনে কথাও বলতেন না। তিনি নিজের দু:খ কখনও কারোর সঙ্গে শেয়ার করেন নাই। তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলিও বাড়ীর নির্জনপ্রিয়তার মধ্যেই কেটে গেলো। এসময় তাঁর খুব ভালো বন্ধু ছিলেন তাঁর একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন। 

সংসদ সদস্য মুনমুন সেন ভারতীয় চ্যানেল ইটিভি বাংলাকে দেয়া  এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকের অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং অন্তরালে কেন চলে গেছেন সরাসরি উত্তরে ছিল জানা নেই। উত্তম কুমারের কথা উঠলে তিনি বলেন, মাকে আমি বলেছিলাম তোমাদের দুজনকে অনেক মানায়, তোমরা বিয়ে করছ না কেন? জবাবে সুচিত্রা মা মেয়ের দিকে তাকিয়ে শুধু হাসেন এবং বলেন এটি জাষ্ট লাভ। তিনি আরো বলেন মা ভীষন জেদী ছিলেন। তিনি এও বলেন সুচিত্রা সেন আধ্যাত্মিক জীবন-যাপন করতেন। তার ইচ্ছের বাইরে আমরা কোনো কাজ করি নাই। তিনি নিজের ক্ষেত্রে বলিউডে কাজ করা পছন্দ করতেন না। তবে আমার (মুনমুন সেন) ক্ষেত্রে মা বলতেন, তোমার বলিউডে কাজ করা উচিৎ। নাতনী দুটোকে ভীষন ভালোবাসতেন। 

মুনমুন সেন আরো বলেন, মাকে দেখার জন্য চীফ মিনিস্টার মমতা ব্যার্নাজি প্রায় আসতেন কিন্তু মা দেখা করতেন না। একদিন তিনি (মমতা) আমাকে বললেন, দেখুন বাংলা সিনেমার জুটি সুচিত্রা সেন আর উত্তম কুমারকে সারা বাংলার মানুষ স্বাভাবিকভাবেই তাদের হৃদয়ে ধারণ করেছে। এ কথা শোনার পর একদিন আমি মাকে বোঝাতে সক্ষম হলাম, তুমিতো এখন সুস্থ পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও একটু দেখা করে নাও, তিনিতো চীফ মিসিন্টার। তখন মা অনুমতি দিলেন এবং দু'জনের দেখা হলো। আমি মমতাকে মায়ের রিপ্লেসমেন্ট মনে করি।

সুচিত্রা সেনের খুব কাছের সাংবাদিক বন্ধু গোপাল বাবু এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সুচিত্রা সেন চলে গেছেন, আর আমি এখনও বেঁচে আছি এ কথা ভাবলে আমার মন কেঁদে উঠে। তিনি বলেন অনেক ভালো মনের অধিকারী ছিলেন। তবে জেদ ছিল ভীষন। অন্তরালে চলে যাওয়ায় আমি বার বার বলতাম তাঁকে কিছু লেখা-লেখি কর। কিন্তু সুচিত্রা বলতেন লিখব কি দিয়ে, আমারতো কলম নেই। গোপাল বাবু এ কথা শুনে ২০টি কলম কিনে এনে তাকে দিলেন। কয়েকদিন পর জিঙ্ঘাস করলেন কিছুকী লিখেছো? না, লিখব। এভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর সুচিত্রা উত্তরে বল্লেন কাগজ নেইতো। গোপাল বাবু বল্লেন এটি একটি কথা হলো। ঠিক আছে আমি কাগজ এনে দিব। অগ্রজ সাংবাদিক গোপাল বাবু সুচিত্রা সেনকে টেলিপ্রিন্টের বিরাট একটা রোল এনে তার ঘরে লাগিয়ে দিলেন আর বল্লেন লিখো এতে। দু’চারদিন পর গোপাল বাবু জানতে চাইলেন লিখেছো কিছু? তিনি বল্লেন হ্যা লিখেছি। সাংবাদিক বন্ধু বল্লেন নিয়ে এসো কি লিখেছো। সুচিত্রা সেন এনে দিলেন তাকে। সেটি ছিল একটি ছবি আঁকা নিচে লেখা ছিল দাদু। সুচিত্রা সেন বল্লেন কি লিখব? লিখতে গেলে অনেক কিছুর ওপর দিয়ে যেতে হবে। তখন গোপাল বাবু বল্লেন থাক তাহলে। গোপাল বাবু বলেন, মেয়ের ব্যাপারে তিনি রির্জাভ ছিলেন। তিনি আরো বলেন মাঝে মধ্যেই সুচিত্রা সেন বলতেন, জানো অনেকে আমার ব্যাপারে অনেক কথা বলে। গোপাল বাবু বলতেন এসব কথায় কান দিয়ে মন খারাপ করে কীলাভ। 

গোপল বাবু সাংবাদিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অন্তরালে কেন চলে গেছেন এ প্রশ্ন আমিও করেছিলাম উত্তর পাই নাই। তবে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ষাটের ছয় দশকের কথা তখন জয়ের শিরোপা তার মাথায় এবং ঘরে-বাইরে অনেক শত্রু তৈরী হয়ে গেলো। এমনকী বলাবলি শুরু হয়ে গেলো সুচিত্রা সেনের লিওকেমিয়া (Leukemia) হয়েছে সে আর ছবি করতে পারবে না। সে সময় ভরত মহারাজের দেখা তার। তিনি সুচিত্রাকে বল্লেন, লোভ করা ভালো নয়। তখন থেকেই সুচিত্রা ছবি করা কমিয়ে দিলেন। বছরে একটি আবার কখনও দু’বছরে একটি করে ছবি করতে করতে কমিয়ে নিলেন নিজের ছবির সংখ্যা। 

ফুসফুস সংক্রমণের জন্য তিনি ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩খ্রি: অতি গোপনীয়তার সাথে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা চলে। অবশেষে ১৭ জানুয়ারি ২০১৪খ্রি: তার সকল ভক্তদের কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।

উনি ওনার কিশোরী  শৈশব পার করা জায়গা পাবনাকে ছেড়ে যাওয়ার পর আর কখনও পাবনায় আসেন নাই। ১৯৪৭খ্রি: বাংলাদেশের পাবনায় ছেড়ে যাওয়া তাঁর পৈত্রিক ভীটায় সরকার থেকে লিজ নিয়ে জামাত পরিচালিত একটি স্কুল চলছিল। কিন্তু পরে পাবনাবাসী এটিকে কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেনের স্মৃতি সংগ্রহশালায় পরিনত করার জন্য একটি আন্দোলন কমিটি গঠন করে পাবনা জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারক লিপি পেশ করে। 

এ আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পাবনার কৃতি সন্তান সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং রবীন্দ্র গবেষক হাবিবুর রহমান স্বপন। পরবর্তীতে পাবনা জেলা প্রশাসন স্কুলটির লিজ ক্যানসিল করে কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেনের স্মৃতি সংগ্রহশালায় পরিনত করে। এখানে ফ্রেমে বেঁধে রাখা হয়েছে সুচিত্রা সেনের নানা সময়ের ছবি এবং কিছু বই-পত্র সংগ্রহের কাজ চলছে পাঠাগারের জন্য। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও তাঁর ব্যবহৃত আসবাবপত্র আনার জন্যও চেষ্টা চলছে। সুচিত্রা সেনের একমাত্র সন্তান মুনমুন সেন তার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যদিও আমি কখনও পাবনায় যাই নাই তবুও আমার মাকে বাংলাদেশের অগনিত মানুষ প্রচন্ড ভালোবাসেন। মার কিছু আঁকা ছবি এবং কিছু জিনিসপত্র ভাবছি বাংলাদেশের পাবনার স্মৃতি সংগ্রহশালায় দেব। 

দিবানাথ সেন ১৯৭০ খ্রি: মৃত্যুবরণ করেন। সুচিত্রা সেন ১৯৫৩ খ্রি: থেকে ১৯৭৮খ্রি: মধ্যে বাংলা এবং হিন্দী সিনেমা মিলিয়ে ৬১টি সিনেমায় দাপটের সাথে অভিনয় করেন। সেগুওলোর মধ্যে ২২টি ব্লকবাস্টার, ১৩টি সুপারহিট, ৫টি ব্যবসায়িক সফলতা আনে এবং বাকীগুলো ফ্লপ করে যায়। 

তিনি ১৭ জানুয়ারী, ২০১৪খ্রি: সকাল ৮টা ২৫মিনিটে ৮২বছর বয়সে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে একমাত্র কন্যা মুনমুন সেন এবং দু’নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেন রেখে গেছেন। সুচিত্রা সেনের ভক্তরা প্রায়শই তার বয়সকালের ছবি দিয়ে ফেসবুক এবং ইউটিউবে প্রচারে ভুল করে থাকেন। সুচিত্রা সেন অন্তরালে যাওয়ার পর তার কোন ছবিই তোলা বা ছাপা হয় নাই। তাই এমনটি কাম্য নয়। মুনমুন সেনের সঙ্গে একজন বয়স্ক সুন্দরী নারীর ছবি প্রায়শই ছেপে প্রচার চালানো হয় এটি সুচিত্রা সেন। গিনিশ বুকে রের্কড আছে যে মহারাণী গায়ত্রী দেবীর নাম। (এ কারণেই ইন্দ্রিরা গান্ধী তাকে ইর্ষা করতেন।) এই মহারাণী গায়ত্রী দেবী আসলে মুনমুন সেনের খালা শ্বাশুড়ী। মুনমুন সেনের সঙ্গে মহারাণী গায়ত্রী দেবীর ওই ছবিটিই দেখে অনেকে ভুল করে প্রচার করে থাকেন এটি সুচিত্রা সেন। আসলে মহা নায়িকা সুচিত্রা সেন মাত্র ৪৮বছর বয়সে অন্তরালে চলে যান।

লেখক : কবি-গল্পকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, সম্পাদক-প্রকাশক, গবেষক

এই বিভাগের অন্যান্য খবর