সৈয়দা রুখসানা জামান শানু : দেশের অষ্টম বাণিজ্যিক ও গুরুত্বপূর্ণ সৈয়দপুর উপজেলা। এখান থেকে জেলা সদরে একে একে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারী দপ্তর-অধিদপ্তর। এর আগে নীলফামারী জেলায় চলে গেছে ৪/৫ টি সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। এমনকী রাজনৈতিক সংগঠনের মর্যাদাও। এবার সর্বশেষে যোগ হয়েছে সৈয়দপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেডের (সাবেক টিএন্ডটি) প্রধান কার্যালয়। সেই পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ আমলে সৈয়দপুরে স্থাপিত সাবেক টেলিফোন দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়ে নীলফামারীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে সরকারি নির্দেশনায় প্রধান কার্যালয় নীলফামারীতে স্থানান্তরের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম নীলফামারীতে শুরু হবে। অথচ সেই বৃটিশ এবং পাকিস্তান আমলে টেলিফোন বিভাগের রংপুর অঞ্চলের মহকুমা অফিস ছিল। পরবর্তী বাংলাদেশ আমলেও সৈয়দপুরের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রধান কার্যালয় সৈয়দপুরে স্থাপন করা হয়। বৃটিশ আমল থেকেই সৈয়দপুর গুরুত্বপূর্ণ শহর হয়ে ওঠায় সৈয়দপুের স্থাপন করা হয় আসাম বেঙ্গল অঞ্চলের প্রধান মহকুমা কার্যালয়। ভারত ভাগের পর সাবেক পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ আমলেও প্রধান কার্যালয়ের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা হয়। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সৈয়দপুর শিল্প বাণিজ্য আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। ফলে টেলিফোন সংযোগের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে সৈয়দপুরে নতুন করে ডিজিটাল টেলিফোনের এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হয়। রজস্ব আদায়ও নীলফামারী জেলায় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয় সৈয়দপুর উপজেলা হতে। এদিক থেকেও বিপুল সংখ্যক টেলিফোন গ্রাহকদের সেবা দেয়ার জন্য প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্ব সৈয়দপুরেই সর্বাধিক। এমনটি বলেন এ উপজেলার একাধিক গ্রাহক। এ অবস্থায় প্রধান কার্যালয় গুটিয়ে নেয়া হলে টেলিফোন সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে ক্ষোভসহ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টেলিফোন গ্রাহকরা। 

সৈয়দপুর বিটিসিএল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সমর কুমার কুন্ডু কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নতুন অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে প্রধান কার্যালয় রাখা হয় নাই, জেলার অধীনে প্রধান কার্যালয় থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।