Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

কালকিনিতে অর্থাভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অসহায় আবদুল জব্বার মাদারীপুর

কালকিনিতে অর্থাভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অসহায় আবদুল জব্বার

সম্পদ আজকে আছে কিন্তু কালকে নাও থাকতে পারে। বাস্তবতা আসলেই বড়ই কঠিন।  কয়েক বছর আগেও অনেক অর্থ বিত্তের মালিক ছিলেন আবদুল জব্বার। তখন হয়তবা তার শুভাকাঙ্কির কোন অভাব ছিলনা। দুরের মানুষগুলোও অনেক আপন ছিল তখন। আর এখন তার অর্থবিত্ত নেই আর কোন আপনজনও তার কাছে নেই। এক নিমিষেই সবাই দুরে সরে গেছে। এরপর থেকে লোকলজ্জায় কারও কাছে কোন সহযোগীতাও চাইতে পারছেন না। কারন সবাই যানে জব্বারে অনেক টাকা-পয়সা আছে। কিন্তু কার খবর কে রাখে, তার অবস্থা যে খুবই নাজুক। এ খবর কি কেউ রেখেছে। এ বাস্তব ঘটনাটি কালকিনি পৌর এলাকার কাষ্টগড় গ্রামের আবদুল জব্বার শরীফ নামের এক অসহায় যুবকের জীবনে।

জানাগেছে, কাষ্টগড় গ্রামের হালান শরীফের ছেলে আবদুল জব্বার শরীফ একসময় ইটালী প্রবাশি ছিলেন। তার বয়স মাত্র ৪০বছর। তিনি ইটালী থাকা কালীন সময় দু’হাত ভরে কামিয়েছেন অনেক টাকা-পয়সা। সহযোগীতা করেছেন অনেকে লোকজনকে। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাশ তার অর্থ বিত্ত নাম কাম সব হারিয়ে এখন তিনি পথে বসে গেছেন। বর্তমানে তিনি চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছেন। এবং কি তিনি অল্প বয়সেই রোগে-শোকে দেখতে বৃদ্ধদের মত হয়ে গেছেন। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পাছেন না। এবং কি তার পরিবারের রয়েছে স্ত্রী ময়না বেগম ও দুই ছেলে। ছেলে আবদুল নবাবের বয়স দুই বছর ও ফকরউদ্দিন আহম্মেদের বয়স দুই মাস। বর্তমানে আবদুল জব্বার কোন কাজকর্ম করতে না পেরে  তার পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে চরম হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি মুখ খুলে সমাজের কারও কাছে কোন সহযোগীতার কথা বলতে পারছেন না। তিনি বর্তমানে অর্ধহারে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাকে এবং তার পরিবারকে কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি সহযোগীতা করতে চান তাহলে কালকিনি জনতা ব্যাংক শাখা, হিসাব নং ০১০০০৩৪৯১০৬৯৮ টাকা পাঠাতে পারেন। আপনাদের একটু সহযোগীতায় বেঁচে যেতে পারে এ অসহায় পরিবারটি।

এব্যাপারে আবদুল জব্বার শরীফ বলেন, একসময় আমার সবই ছিল, আর এখন আমার কিছুই নেই। এবং কি অনেকের কাছে আমি দেনা হয়ে গেছে। এ দেনা আমি কিভাবে পরিষদ করমু। এদিকে আমার শরীর অসুস্থ্য। পরিবার নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকা বড়ই কঠিন হয়ে গেছে।