Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

সাবিয়ার হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হবে : পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া

সাবিয়ার হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হবে : পুলিশ সুপার

দুই মেয়ে সারিকা (১০) এবং সাবিয়া (০৬)। এই দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার ভাষার। বড় মেয়ে সারিকা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী এবং ছোট মেয়ে সাবিয়া প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। ভাষা মাঠে দিনমজুরের কাজ করেন। অভাবের সংসার তাই তার স্ত্রী কাজলী খাতুন থাকে ওমানে। একটু পারিবারিক স্বচ্ছলতার আশায়।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অনান্য শিশুদের সাথে বাড়ীর আঙ্গিনায় খেলা করছিলো সাবিয়া। সন্ধ্যা নেমে আসে চারিদিকে। অন্যশিশুরা খেলা শেষে বাড়ী ফিরলেও তখন বাড়ীতে ফেরেনি সাবিয়া। 

পরদিন শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে লাশ হয়ে ফেরে সাবিয়া। সারারাত বাড়ীর লোকজন খোঁজা-খুঁজি করে কোন সন্ধান পায়নি সাবিয়ার। সকালে বাড়ী থেকে একটু দুরে মিটন শ্বশানের পাশে খাসিমারা মাঠের একটি ধান ক্ষেতের সেচ নালা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
আজ রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুষ্টিয়ার নব্য পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত। 

তিনি বলেন, “শিশু সাবিয়াকে খুবই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আলামতে পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত এবং দোষীদের খুব শিঘ্রই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।” 

তিনি আরো বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ড যারা করেছে তারা যেই হোক না কেনো তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার পরে মিটন শ্মশানের পাশে আম বাগানে চলে মাদকের রমরমা ব্যবসা। মাদক সেবী আর মাদক বিক্রেতাদের আনা-গোনা থাকে ঐ এলাকায়। এজন্য সাধারন মানুষ ওখানে যায় না। 

এলাকাবাসী আরো জানায়, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কোনদিন না ঘটে এজন্য হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। 

সাবিয়ার পিতা ভাষা বলেন, “আমার মেয়েকে যারা এমন নির্দয়ভাবে ভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। আমার বাচ্চা মেয়ে। সে কিছুই বোঝে না। তাকে হত্যা করেছে যারা তাদের দ্রুত বিচার চাই।” 

তিনি আরো বলেন, সারিকা ও সাবিয়া’র মা বিদেশ থাকে। আমি এই দুটি মেয়েকে সব সময় চোখে চোখে রাখি। বিকেলে যখন বাড়ী থেকে বাজারে যায় তখনও সাবিয়া আমার সাথে কথা বলেছিলো। সে খেলা করছি অন্য শিশুদের সাথে। তারপরে আর কথা হয়নি।
 
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা স্থানীয় রবিউল নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। আশা করছি খুব শিঘ্রই আমরা দোষীদের খুঁজে বের করবো।