Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

জামিন পেল গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক ও ড্রাইভার কুষ্টিয়া

জামিন পেল গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক ও ড্রাইভার

একদিকে সরকারি তদন্ত টিমের সদস্যরা যখন চৌড়হাস মোড়ে ঘটনাস্থল তদন্ত করছে ঠিক একই সময়ে আকিফাকে ধাক্কা দেয়া সেই গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক ও ড্রাইভারকে জামিন দিয়েছেন আদালত। 

আজ সোমবার (১০ সেপ্টম্বর) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক ওই দুই আসামীকে জামিন দেন। 

এর আগে রোববার (০৯ সেপ্টম্বর) ফরিদপুর থেকে বাসের মালিক জয়নালকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে কুষ্টিয়ায় এনে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। 

আর ড্রাইভার মহিদ মিয়া ওরফে খোকন সকালে আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিন চান।

আদালত সুত্র জানিযেছে, আকিফার বাবার দায়ের করা মামলায় গঞ্জেরাজ পরিবহেনর মালিক জয়নাল মিয়াকে ফরিদপুর থেকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। রোববার বিকেলে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে মালিকের পক্ষে তার আইনজীবীরা সিনিয়র জুডিশিায়ল ম্যাজিষ্ট্রেট এ্ম এম মোর্শেদের আদালতে জামিন আবেদন করেন। একই সময়ে আদালতে অঅত্মসমর্পন করেন ড্রাইভার মহিদ মিয়া ওরফে খোকন। পরে আদালত দুইজনকে জামিন দেন।

আসামীদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশরাফ বলেন, নতুন আইন এখনো গেজেট হয়নি। তাই পুরাতন আইনে আসামীদের জামিন আবেদন করা হয়। সব দিক বিবেচনা করে আদালত আসামীদের জামিন দিয়েছেন।

এদিকে আকিফা হত্যার ঘটনায় গঠিত সরকারি একটি তদন্ত টিমের সদস্যরা সকালে কুষ্টিয়ায় আসেন। তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ১০ সদ্যেসের একটি দল। এর মধ্যে ঢাকার ৬জন ও বাকিরা স্থাণীয়। তদন্ত টিমের সদস্যরা আকিফার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ও মা’র সাথে কথা বলেন। এছাড়া স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শিদের সাথেও কথা বলেন তারা। 

তদন্ত টিমে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, বিআরটিএ পরিচালক (অপারেশন) সিতাংশু শেখর বিশ্বাস, বুয়েটের সহযোগি অধ্যাপক ও দুর্ঘটনা গবেষনা প্রতিষ্ঠানের সদস্য কাজী মোহাম্মদ সাইফুন নেওয়াজ, নিরাপদ সড়ক চাই এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন, সাংবাদিক অশোক চৌধুরী। এছাড়াও স্থানীয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ছাড়াও বিআরটিএ বিভাগীয় পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। 

তদন্ত শেষে সড়ক পরিবহন ও সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিশু আকিফার মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। প্রাথমিকভাবে যেটি মনে হয়েছে চালকের অদুরদর্শিতার কারনেই শিশু আকিফার করুন মৃত্যু ঘটেছে। এই দুর্ঘটনার দায় চালক এড়াতে পারেননা। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আকিফার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সাথেও কথা বলেছি। দুর্ঘটনার যে ভিডিওচিত্র সেটিও আমরা সংগ্রহ করেছি। আশা করি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এর প্রতিবেন দিতে পারব।