Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

ব্রাজিলে পুড়ল ২০০ বছরের জাদুঘর আন্তর্জাতিক

ব্রাজিলে পুড়ল ২০০ বছরের জাদুঘর

ব্রাজিলের রিও দে জেনেইরোতে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ২০০ বছরের পুরনো ন্যাশনাল মিউজিয়াম। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের সবচেয়ে পুরনো এই জাদুঘরে প্রত্নসম্পদ থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক স্মারক মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি নিদর্শন সংরক্ষিত ছিল।

রোববার রাতের অগ্নিকাণ্ডে তার বেশিরভাগই ধ্বংস হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হয়েছে কি না- সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এক সময় পর্তুগিজ রাজ পরিবারের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত ওই ভবনটির ২০০ বছর পূর্তি উদযাপন হয়েছিল চলতি বছরের শুরু দিকে।

 
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, পুরো ভবনটি আগুন গ্রাস করে নিয়েছে; অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কর্মীরা মরিয়া হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।  

বিবিসি লিখেছে, রোববার রাতে জাদুঘর বন্ধ হওয়ার পর কোনো এক সময় ওই ভবনে আগুন লাগে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল তা এখনও স্পষ্ট নয়।  

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের এক টুইটে বলেছেন, “ব্রাজিলিয়ানদের জন্য এটা একটা দুঃখের দিন। ওই ভবনের সঙ্গে আমাদের ইতিহাসের অপরিমেয় ক্ষতি হল।” 

ব্রাজিলের গোলবো টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিউজিয়ামের পরিচালক এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে বর্ণনা করেন দেশের সংস্কৃতির জন্যে একটি ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে।   

বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্রাজিলের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শনের পাশাপাশি মিশরসহ বিভিন্ন দেশের প্রত্নসম্পদ সংরক্ষিত ছিল ওই জাদুঘরে।

এ জাদুঘরের ন্যাচারাল হিস্ট্রি কালেকশনের মধ্যে ছিল ডাইনোসরের হাড় এবং ১২ হাজার বছর আগের এক মানুষের মাথার ‍খুলি। ১৮১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ব্রাজিলের দেখভালের দায়িত্বে ছিল যৌথভাবে রিও দে জেনেইরো ফেডারেল ইউনিভার্সিটি এবং ব্রাজিলের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বিভিন্ন সরকারের সময়ে এই মিউজিয়াম অবহেলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের।

জাদুঘরের উপ পরিচালক লুইজু দুয়ার্চি স্থানীয় একটি টেলিভিশনে বলেন, “সরকারের কাছ থেকে আমরা কিছুই পাইনি। কিছুদিন আগে আমরা রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক বিএনডিইএস এর সঙ্গে একটা সমঝোতা স্মারকে সই করেছিলাম, যাতে ওই ভবনের সংস্কার করার জন্য টাকা পাওয়া যায়। আমরা অগ্নি নির্বাপনী ব্যবস্থাও নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করেছিলাম।”