Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

সুপর্ণার পরিবারকে মামলা না করার হুমকি, প্রেমিকের মোবাইল উদ্ধার খুলনা

সুপর্ণার পরিবারকে মামলা না করার হুমকি, প্রেমিকের মোবাইল উদ্ধার

পাইকগাছা কলেজ ছাত্রী সুপর্ণার আত্মহত্যার ঘটনা পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সেই ৬ যুবক গা ঢাকা দেয়ার পর অভিজিত ও সুপদ সুপর্ণার পরিবারকে মামলা না করার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, প্রেমিক ইনজামের ২৬ হাজার টাকার মোবাইল ঘটনাকারীরা ইউপি সদস্য প্রকাশের কাছে জমা দিয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনা আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে। 
 
জানা যায়, উপজেলার খড়িয়া ঢেমসাখালী গ্রামের মঙ্গল চন্দ্র মন্ডলের কলেজ পড়–য়া কন্যা সুপর্ণা (১৮) পার্শ্ববর্তী খড়িয়া খাল ধার গ্রামের কবির সানার পুত্র ইনজামামের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার সুপর্ণার পিতা-মাতা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ঐ রাতেই ইনজাম মটরসাইকেলযোগে সুপর্ণার বাড়ীতে যাই। পাশে ওৎপেতে থাকা ৬ যুবক অভিজিত, প্রসেনজিত, সুপদ, বিশ্বজিত, নন্দ ও উত্তম সুপর্ণার বাড়ীতে ঢুকে ইনজামকে ধরে বারান্দায় এনে প্লাস্টিকের চেয়ারে হাত-পা বেঁধে মারপিট করতে থাকে। সুপর্ণা নিষেধ ও ঠেকাতে আসলে তাকে আত্মহত্যা করে মরতে এবং ইনজামকে মারতে থাকে। ইনজামের কাছে থাকা ২৬ হাজার টাকার ওয়ান প্লাস ওয়ান ও ৫ হাজার টাকার স্যামসাং মোবাইল ঐ ৬ যুবক কেড়ে নেয়। চেচামেচিতে সুবর্ণার দিদিমা সুন্দরী (১০১) ও বড় কাকা বিজন (৮০) টের পায়। অভিজিত ঐ সময় ইউপি সদস্য প্রকাশ ও রফিকুলকে মোবাইলে জানায়। ইউপি সদস্য রফিকুল ইনজামের চাচা নুর নবীকে সাথে করে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং দু’ইউপি সদস্য আলোচনা করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা পূর্বক ইনজামকে নিয়ে রফিকুল ও নুর নবী চলে যায়।
 
লোক লজ্জায় এবং ঐ ৬ যুবকের আচরণ ও কথায় অপমান সইতে না পেরে শনিবার ভোর ৫টায় সুপর্ণা বিষপান করে। তার বাড়ীর লোকজন টের পেয়ে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। এ ঘটনা দৈনিক আমার একুশ পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে সেই ৬ যুবক গা ঢাকা দেয়ার পর পুনরায় এলাকায় অভিজিত ও সুপদ এসে সুপর্ণার পরিবারকে মামলা না করার জন্য নানাবিধ হুমকি দিচ্ছে বলে সুপর্ণার পিতা বিজয় ও কাকা অখিল অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য প্রকাশ মন্ডল জানান, ইনজামের দুটি মোবাইলের মধ্যে ইতোমধ্যে টার্চ মোবাইলটি আমার হস্তগত হয়েছে। অভিজিৎ জানায়, ঘটনার দিন সুপদ তার কাছে মোবাইল করলে সে নন্দ, বিশ্বজিত সহ ৪/৫জন যেয়ে প্রেমিক ইনজাম ও সুপর্ণাকে আটক করে মারপিটের কথা স্বীকার করে। তবে সুপর্ণা মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে ইনজামকে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে দেয়। আর এসব বিষয়ে পূর্ব থেকে আমার কিছু জানা ছিল না। এলাকাবাসী এ ঘটনাটি আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের দাবী জানিয়েছে প্রশাসনের নিকট।