Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

তাবিজ দেয়ার নামে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ঝালকাঠি

তাবিজ দেয়ার নামে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ঝালকাঠির সুগন্ধা বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন পৌর শশ্মানঘাট এলাকায় তাবিজ-কবজ দেয়ার নামে সহজ-সরল লোকদের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওঝা কবিরের বিরুদ্ধে। তবে ওঝা কবীর হোসেন আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, কেউ যদি সামনে এসে অভিযোগ প্রমাণিত করতে পারে তাহলে বিচার যেটাই হোক মাথা পেতে নেব। 

অভিযোগে জানাগেছে, পূর্ব চাঁদকাঠি সুগন্ধা পৌর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন সার্কিট হাউসের পিছনে গাঁজা পল্লী খ্যাত পৌর শশ্মানঘাট এলাকায়  মেয়েদের বশ করে দেয়ার নামে তাবিজ-কবজের বিনিময়ে যুবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কোরআন শরীফের দোহাই দিয়ে কুফরী কালামের মাধ্যমে এ তাবিজ-কবজ দেয়া হয়। তিনি নিজেকে কায়েদ সাহেব হুজুরের মুরিদ দাবি করে এ প্রতারণা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এলাবাসী জানায়, কবীর হোসেনের কাছে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসে। আগন্তুক লোকদের মধ্যে বেশিরভাগই উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবক। তাঁদের কাছ থেকে মেয়েদের বশ করাসহ সবকিছুই ঠিক করে দেয়ার নামে তাবিজ-কবজ দিয়ে টাকা নিচ্ছে। এবিষয়ে ওঝা কবির হোসেন তাবিজ-কবজ দিয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমি কুফরী কালাম দিয়ে আগে কাজ করতাম। ২০০৭ সালে কায়েদ সাহেব হুজুরের মুরীদ হয়েছি। কায়েদ সাহেব হুজুরের ইন্তেকালের পর আমি স্ট্রোক করায় তার মাজার জিয়ারত করে শপথ করেছি কুফরী কালাম আর ব্যবহার করবো না। আমার দিয়ে কারো ক্ষতি হয়ে সেটা যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমার কাজের জন্য  কোরআন শরীফ এবং সেকল পুস্তক আছে আমি তা আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলবো। এরপর বিচার যা হয় মেনে নিব। শত্রæতার জের ধরে আমার নামে এক পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। 

প্রতিবেদককে কবীর ওঝা হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, আপনার যা খুশি লেখেন, তবে সত্যতা যাচাই করে লিখবেন। আমার আগের দিন থাকলে কুফরী কালামের মাধ্যমে আপনাকে মেরে ফেলতাম। তা আল্লাহও রক্ষা করতে পারতো না।