Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

স্মৃতিস্থলে অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন আন্তর্জাতিক

স্মৃতিস্থলে অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন

রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মুখাগ্নি করেন তাঁর পালিতা কন্যা নমিতা ভট্টাচার্য। নমিতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়ে নীহারিকা।

শেষ বারের মতো বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন দেশ বিদেশের প্রতিনিধিরা। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধান, প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহেরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। ছিলেন ভূটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক, আফগানিস্থানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ করজাই, শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী লক্ষণ কিরিয়েল্লা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলিও। 

বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মরদেহ রাখা ছিল কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাসভবনে। আজ সকালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির নতুন সদর দফতরে। দীর্ঘ দিন ভারতীয় জনতা পার্টির রাশ তাঁর হাতে থাকলেও এই নতুন অফিস থেকে তিনি কখনও দল পরিচালনা করেননি। 

বিকেল দুটো পর্যন্ত মরদেহ শায়িত ছিল বিজেপি সদর কার্যালয়েই। পরে সেখান থেকে শোকযাত্রা পৌঁছয়  রাজঘাটের কাছে রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলে। সমাধিস্থলে একটি স্মৃতিস্মারকও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। শেষযাত্রায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর রাস্তায় হাজির হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ঢল নামে অগণিত সাধারণ মানুষেরও। 

প্রয়াত নেতাকে দলীয় দফতরে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি-র নয়া সদর দফতরে অটলবিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, অনন্তকুমার, সুরেশ প্রভু-সহ বিজেপি শীর্ষনেতারা।

অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যও ছুটি ঘোষণা করেছে। পূর্ণদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগঢ়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজ, সরকারি দফতরে ছুটি ঘোষণা করেছে বিহার সরকারও। আনন্দবাজার