Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

ঝালকাঠিতে খাবারে বিষ দিয়ে হত্যা চেষ্টায় মামলা ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে খাবারে বিষ দিয়ে হত্যা চেষ্টায় মামলা

পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় বিমান বাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তাকে খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মৃত্যু পথযাত্রী স্বামীকে ফেলে ঘর থেকে নগদ টাকা ও ছয় ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী। ঘটনার ১৫ দিন পর সুস্থ্য হয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্ত্রী আফরোজা আক্তার লবনীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্বামী মো. শাহাদাৎ সিকদার। বিচারক এইচ.এম. কবির হোসেন অভিযোগটি ঝালকাঠি থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে সার্জেন্ট হিসেবে অবসর নেন ছত্রকান্দা গ্রামের শাহাদাৎ সিকদার। অবসরের পর বেশ কয়েক বছর সৌদি আরবে চাকুরী করে ২০১৬ সালে দেশে ফিরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মিলন সিকদারের মেয়ে লাবনীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে সোহা নামে দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী শাহাদাৎকে বিভিন্ন অজুহাতে চাপের মধ্যে রেখে স্ত্রী লাবনী একাধিক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে স্বামী শাহাদাৎকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা শুরু করে লাবনী। সবশেষ গত ২৯ জুলাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়া নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে লাবনী ঘরের আসবারপত্র ভাংচুর শুরু করে। এতে বাধা দিলে শাহাদাৎকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই দিনই শাহাদাৎ ঝালকাঠি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য দুই পক্ষকে পয়লা আগস্ট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসতে বলেন। এ খবর জানতে পেরে ৩১ জুলাই রাতেই শাহাদাৎ এর খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয় স্ত্রী লাবনী ও তার ভাই সেলিম। খাবার খেয়ে শাহাদাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘরে থাকা ৬ ভরি স্বর্নালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় লাবনী ও সেলিম। পরে শাহাদাৎ এর চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

শাহাদৎ সিকদার মুঠোফোনে বলেন, দুই সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গত ১৪ আগস্ট ঝালকাঠি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে  মামলা দায়ের করি। আদালত ঝালকাঠি থানার ওসিকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। লাবনী প্রায়ই আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। পরোকীয় করতো, তাতে বাধা দিতে গিয়ে আমি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। আমাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সে। 

এ বিষয়ে লাবনী আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল গ্রহণ করেননি।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ঘটনায় এখনো আদালতের কোন নির্দেশনা হাতে পাইনি। নির্দেশ পেলে সে মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।