Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে: ৬৫ টি পদ শূণ্য, স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত সুনামগঞ্জ

জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে: ৬৫ টি পদ শূণ্য, স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত

সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত জনপদ জামালগঞ্জ উপজেলা । ৩৩৮.৭৪ বর্গ কি:মি: আয়তনে ২ শতাধিক গ্রামে বিচ্ছিন্নভাবে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে জীবিকা নির্বাহ করে ২ লক্ষাধিক দরিদ্র জনগোষ্ঠি। যাদের স্বাস্থ্য সেবায় উপজেলার উপকন্ঠে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট । যা প্রয়োজনের তোলনায় অপ্রতুল। কমপ্লেক্সটি নির্মানের শুরু থেকেই পদ শুণ্যতা লেগেই আছে। এখন পর্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ৬৫ টি পদ শুণ্য রয়েছে । ১ জন করে আবাসিক মেডিকেল অফিসার, সার্জিকেল বিশেষঞ্জ,গাইনি,মেডিসিন,মেডিকেল ,এনেস্তেসিয়া ও ডেন্টাল সার্জন সহ ৭টি ১ম শ্রেনীর পদ শুন্য রয়েছে।দ্বিতীয় শ্রেনীর তথা অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে ১জন নার্সিং সুপারভাইজার, ৮জন ষ্টাফ নার্স ২জন করে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ল্যাব,ফার্মাসিষ্ট,১জন করে পরিসংখ্যানবিদ,ষ্টোর কিপার,২জন কাম কম্পিউটার অপারেটর,স্বাস্থ্য পরিদর্শক,৭জন স্বাস্থ্য সহকারী,১জন করে ড্রাইভার,মেকানিক্স সেবক,৩জন এম এল এস এস,১জন করে ওয়ার্ডবয়,আয়া,২জন কুক,৪জন ঝাড়–দার,১জন করে নিরাপত্তা প্রহরী ও গার্ডেনারের পদ শুন্য রয়েছে।

এ ছাড়াও সদর ইউনিয়নের সোনার বাংলা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন মেডিকেল অফিসার সহ ৪ টি পদই শুন্য রয়েছে। সাচনা বাজার ইউনিয়ন ,ফেনার বাক ইউনিয়ন ও ভীমখালী ইউনিয়নের ১জন করে মেডিকেল অফিসার ও স্যাকমো সহ ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে ৫ টি সি এইচ সি পির পদ শুন্য। ফলে গুটা উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে লোকবলের অভাবে ঘটছে দারুন বিঘ্ন । ১জন মেডিকেল অফিসার দ্বারা চলছে হাসপাতাল । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মনিসর চৌধুরী সকল সরকারি দাপ্তরিক কাজ, বিভিন্ন প্রশিক্ষন গ্রহন ও প্রদান অনুষ্টানে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে মুলত ১ জন ডাক্তার দিয়েই চলছে স্বাস্থ্য সেবা । মোটর সাইকেলের ধাক্কায় আহত পথচারী এই হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গেলে আয়া পিয়ন ওয়ার্ডবয়কে ও না পেয়ে রক্তাক্ত  অবস্থায় ফিরে যান সুনামগঞ্জে আহত মোশারফ। তিনি বলেন, ১ জন ডাক্তার দিয়ে কিভাবে চলে হাসপাতাল, বন্ধ করে দিলে হয়রানি থেকে মুক্তি পাইব জনগন। শুরু থেকেই এক্সে-রে মিশিন টি অচল, এম্বুলেন্স আছে ড্রাইভার নেই। ফলে রেফার্ড করা রোগিদের নিয়ে মহাশংকটে  রোগীর অবিভাবকরা। 
 
 
 জামালগঞ্জের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সর্ব প্রথম পাক ব্রিটিশ আমলের প্রতিষ্টিত প্রতিষ্টান সাচনা বাজার দাতব্য চিকিৎসালয় । লামাবাজার মাছ বাজারের পাশে অবস্থিত ৪৬ শতক ভূমিতে রয়েছে এই প্রতিষ্টান । স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে স্বাস্থ্য কেন্দ্র টি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। তৎকালীন সময়ে   এঙ্গেল যুক্ত করে  ৪ টি গৃহ  নির্মান হয়েছিল ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ।পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বিভিন্ন ভাবে ব্যবসায়ীরা দখল করার চেষ্টা করছিল। স্বাধীনতার ১২ বছর পর টি এইচ এফ পি ও দখলদারদেরকে নোটিস প্রদান করে । টনক না নড়ায় তাদের বিরোদ্ধে ২৮ অক্টোবর ১৯৯৩ ইং ১০৩১ (৭) ১ স্মারকে কারন দর্শানো নোটিশের পর ২২/৯৩-৯৪ নং মামলা শুরু হয়। ১১/৭/৯৪ ইং তারিখ নির্বাহী কর্মকর্তা ৭২৫(৪) স্মারকে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করে আইনী ব্যবস্থার তত্ত্বধানে ছিল।

২০০৩ সালে ক্লিন হার্ট অপারেশনের সময় সেনাবাহীনী দ্বারা দখলদার উচ্ছেদ করে ইটের দেয়াল দিয়ে সীমানা নির্ধারন করে ছিল। পাশ্ববর্তী প্রতিবেশীদের দ্বারা পুনরায় প্রতিষ্টানটি দখল করার চেষ্টা চলছে।এর সংস্কার নিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের জোরালো প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এই দাতব্য চিকিৎসালয়টি পুনরায় চালুকরলে সাচনা বেহেলী ও জামালগঞ্জ উওর ইউনিয়নের ৯০হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সেবার প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ ঘটবে । এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মনিসর চৌধুরী বলেন, জনবলের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটছে।যারা আছে তারা  পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করতে পারছেনা । এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মান কাজ দ্রুত চলছে। উন্নত স্বাস্থ্য সেবায় সরকার আন্তরীক । স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কে জনবল শংকটের অভাব পুরনের চাহিদা সহ, সাচনা বাজার দাতব্য চিকিৎসালয়টি চালুকরনের জন্য ও আবেদন পাঠিয়েছি।  এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের পূর্ন আশ্বাস পেয়েছি। 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর