২৬০ বছরেরও অধিক বয়সী ঐতিয্যবাহী একটি গাছ, যার একটি ডালও ভয়ে ভাঙ্গেনা কেহ!!! কিশোরগঞ্জ / 
বাংলাদেশের যে কয়েকটি ঐতিয্যবাহী ও সুপ্রাচীন স্থান রয়েছে তার মধ্যে ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার মাঠ অন্যতম। ১৭৫০ সালে এ মাঠের গোড়াপত্তন হয়। শোলাকিয়া মাঠের নাম শোনেনি বাংলাদেশে এরকম মানুষ পাওয়া যায় না সচরাচর। শোলাকিয়া মাঠ প্রায় সাত এশর জমির উপর অবস্থিত আর এতে কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে একটি প্রাচীন ২৬০ বছরের অধিক বয়সী ঐতিয্যবাহীও জনপ্রিয় একটি বৃক্ষ। যার অবস্থান মাঠের মূল গেইট সংলগ্ন দক্ষিন-পশ্চিম প্রান্তে। স্থানীয় লোকজনের মতে, এ রেইনট্রি গাছটির বয়স ও শোলাকিয়ার মাঠের বয়স প্রায় সমান।
ঐতিয্যবাহী এ গাছটির নিচে ঈদ-ঊল-ফিতরের নামাজপড়ার জন্য বয়োজোষ্ঠ মুসুল্লিরা ঈদের দিন ভোর বেলায় চলে আসেন। এছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে এক নজর এ গাছটি দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন লোকজন।
জনশ্রুতি রয়েছে স্থানীয় মানুষজনের মাঝে, এ গাছের ডাল কেউ যদি ভাঙ্গে তবে সে ভীষনভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে নতুবা কোননা কোন ক্ষতির সম্মুখীন হবেই। এলাকাবাসীর কেউ এ গাছের ঢাল ভাঙ্গে না এবং কেউ যেন ঢালনা ভাঙ্গা তার জন্য সর্বদাই বিরত রাখার চেষ্টাকরে। এ গাছকে সবাই যথেষ্ট সমীহ করে। এ কারনেই গাছটি এভাবে কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী। সেই সাথে বৃদ্ধি কওে চলেছে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠের দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের।