Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে কাঁচামরিচ অর্থ-বাণিজ্য

অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে কাঁচামরিচ

বন্যার অজুহাতে এবার কাঁচা মরিচের দাম হুট করেই ৭গুণ বেড়ে গেছে। রাজধানীতে কাঁচা মরিচের দাম অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে আড়াইশ টাকায় উঠেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির কারণে উৎপাদনকারী জেলা থেকে কোনো মরিচ আসছে না। এজন্য বাজারে দেশী মরিচের কোনো সরবরাহ নেই। বাজারে যে মরিচ বিক্রি হচ্ছে, তা ভারত থেকে আমদানি করা। বেশি দামে আমদানি করার কারণে দামও বেড়ে গেছে।
এদিকে ভারতে বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। পণ্যটি আমদানিতে ব্যবসায়ীরা শুল্ক সুবিধা পাওয়ার কারণে পরিবহন খরচ ও অনান্য খরচ দিয়ে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ খরচ হয় ১১০-১২০ টাকা। এর সঙ্গে খরচ যোগ করলে দাম পড়ে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা।কিন্তু প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৬০-৭০ টাকা লাভে বিক্রি করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মরিচ উৎপাদনকারী জেলা মানিকগঞ্জ, যশোর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরে গতে এক সপ্তাহের টানা বর্ষণের কারণে মরিচ সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এসব জেলায় প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১২০ টাকায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে মরিচের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মুনাফার নামে পকেট কাটতি শুরু করেছে।

মরিচের দাম বাড়লেও বাজারে পেয়াজের দাম আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াজ খুচরা পর্যায়ে ৬০টাকা কেজিতে নেমে এসেছে। আগামী সপ্তাহে দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে রসুনের দাম কেজিতে ৩০-থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশী রসুন ১০০ টাকা দরে এবং চীনা রসুন ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের অন্যান্য খবর