বিএনপির রাজনীতিতে ভাটা চলছে। তাদের জোয়ার আসবে কিনা সেটা জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কাদের বলেন, এক সময় আমাদের ভাটা ছিল। এখন বিএনপির ভাটা চলছে। তাদের জোয়ার হবে কিনা জানি না। তবে আজকে যে জোয়ার তা আওয়ামী লীগের পক্ষে। আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ এ জোয়ারে ভাসবে।

শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গণসংবর্ধনা’ উপলক্ষে চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘গণসংবর্ধনা’ নির্বাচনী শো-ডাউন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতিতে কখনও জোয়ার কখনও ভাটা থাকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর আমরা ভাটাতে ছিলাম। আবার যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখনও এক ভয়াল পরিস্থিতিতে ভাটায় ছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও।

তিনি বলেন, আজকে রাজনীতিতে আমরা ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন করতে পেরেছি, অর্জন করতে পেরেছি। যা দেশে-বিদেশে সমাদৃত হচ্ছে, প্রশংসিত হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা তো অভূতপূর্ব সাফল্য। সে কারণে এ সংবর্ধনা কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী জাতির জনকের কন্যাকে দিচ্ছি। আর লোক সমাগমের বিষয়টা আপনাদের ক্যমেরাই বলে দেবে।

বিএনপি সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইছে এমন প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই না এ কথা কি আমরা বলছি। তবে আমরা কাউকে টেনে আনবো না। সব গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিবে, সেটা রাজনৈতিক অধিকার-করুণা নয়। করুণা বা দয়ায় কেন বিএনপি নির্বাচনে আসবে। এটা তাদের অধিকার।

তিনি বলেন, তারা শুধু বলার জন্য বলছে। আমি আবারও বলছি বিএনপির রাজনীতিতে এখন ভাটা চলছে, এ ভাটা কবে যে জোয়ার হবে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।

নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, সংলাপ কেন? কি প্রয়োজনে? নির্বাচন হতে তো কোনো সমস্যা নেই। তারা কি জাতীয়তাবাদী নির্বাচন কমিশন চায়? তাদের প্রতিনিধি তো নির্বাচন কমিশনে আছে। তারা কি চায় নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিতে হবে? তাহলে তারা নির্বাচনে আসবে। এটা তো কেউ দিতে পারবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল অলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা আজম প্রমুখ।