Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

ক্রোয়েশিয়াকে কাঁদিয়ে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয় খেলাধুলা

ক্রোয়েশিয়াকে কাঁদিয়ে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়

রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্নভঙ্গ করে শিরোপা জয় করলো ফ্রান্স। ২০ বছর পর বিশ্ব মঞ্চে আবারো নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করলো জিদান-দেশমের উত্তরসূরিরা।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ জিতলো ফ্রান্স।

শুরু থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণে এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে ভালো কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি। খেলার ১৮ মিনিটে মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।

আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়ে খেলায় আক্রমেণ বাড়িয়ে দেয় ফ্রান্স। এরই ধারাবাহিকতায় খেলার ২৭ মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক পায় ক্রোয়েশিয়া। ফ্রি-কিক নেন ক্রোয়মিয়ার অধিনায়ক লুবা মডরিচ।

মডরিচের ফ্রি-কিক থেকে ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান পেরেসিচ। বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে বল জালে জড়ান পেরেসিচ। ২৮ মিনিটের মাথায় পেরেসিচের গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া।

খেলার ৩৭তম মিনিটে কর্নার থেকে ডি-বক্সে আসা বলে লেগেছিল পেরিসিচের হাতের ছোঁয়া। রেফারি মাঠের বাইরে গিয়ে ভিডিও রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দেন স্পট-কিকের। ঠাণ্ডা মাথায় টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন গ্রিজমান।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার সমতা ফিরতে পারতো। ইভান রাকিতিচের বাড়ানো বল ধরে আন্তে রেবিচের শট দুর্দান্তভাবে ঠেকান উগো লরিস।

৫২তম মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মতো জ্বলে উঠেন কিলিয়ান এমবাপে। পাল্টা আক্রমণে পল পগবার বাড়ানো বল ধরে দুর্দান্ত গতিতে ভিদাকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। পা দিয়ে ঠেকান সুবাসিচ।

দ্বিতীয়ার্ধেও অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় ফরাসিরা। বাঁ দিক থেকে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে এমবাপের ক্রস ধরে গ্রিজমান বল পাঠান পেছনে থাকা পল পগবাকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডারের ডান পায়ের প্রথম শট ফেরে রক্ষণে। ফিরতি বলে বাঁ পায়ের শট যায় জালে।

ছয় মিনিট পর এমবাপের দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান। বাঁ দিক থেকে লুকা এরনঁদেজের পাসে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে নিচু শটে করেন টুর্নামেন্টে তার চতুর্থ গোল।

পেলের পর প্রথম টিনএজার হিসেবে ফাইনালে গোল পেলেন ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

এরপরই গোলরক্ষক উগো লরিসের মারাত্মক ভুল। ব্যাকপাসে বল পেয়ে অযথা এগিয়ে আসা মানজুকিচকে কাটাতে চেয়েছিলেন। পারেননি, মানজুকিচের বুটের টোকায় বল চলে যায় জালে। আশা জাগে ক্রোয়াট শিবিরে।

এদেিক ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথমার্ধে তিন গোল হলো। ৪৪ বছর আগের ফাইনালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিলো পশ্চিম জার্মানি।