বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অমাবস্যার তিথির প্রভাবে রোববার পৌর বাজার সহ উপজেলা ৬ ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে শত শত মৎস্য পুকুর ও ফসলি জমি। পৌর বাজার, উপজেলা প্রশাসন চত্বর হাটু পানিতে ডুবে গেছে। ব্যাহক হয়েছে ব্যবসা বানিজ্য সহ দাপ্তরিক কার্যক্রম। বিঘ্ন ঘটেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও চলাচল ব্যবস্থা। 

১৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভরা মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর পশ্চিম পাড়ের ৬ ইউনিয়নের ১০ গ্রামে অস্বাভবিক জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেছে বিস্তীর্ন জনপথ। দিনে রাতে দু’বার জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় পৌরসভা সহ বিস্তীর্ন জনপথের রাস্তা-ঘাট। পৌরসভার বারইখালী, সরালিয়া গ্রামের অনেক পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পৌরসভার বারইখালী ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। কালাচান দরগাহ এলাকার স্লুইজ গেট ভেঙ্গে বারইখালী ১ নং ওয়ার্ড প্লাবিত হচ্ছে। যার কারনে বারইখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব পাশের এলাকার শত শত বাড়ি ঘর তলিয়ে যায়। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসন চত্বর। বারইখালী ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহিনুর বেগম জানান, কালাচান দরগাহ সংলগ্ন এলাকার জোয়ারের পানি বিপদসীমার উপরে ছিল। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় এসব পরিবার পানি বন্দি হয়েছে বলে জানা গেছে।  

উপজেলা পৌর বাজারে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত ডুবছে। বিশেষ করে খলিফা পট্রি, পাদুকা পট্রি, মেইন রোড, কলেজ রোড, এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কুঠি বাড়ি এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। স্কুল ছুটির পর প্রাথমিক ও একাডেমির শিক্ষার্থীরা হাটু পানি ভেঙ্গে ঝুকি নিয়ে বাাড়ি ফিরতে হচ্ছে। দি লাইসিয়াম একাডেমির ২য় শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল সাফিন সহ শিশু শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বিদ্যালয় থেকে হাটু পানি পেড়িয়ে প্রায় ১ কিমি. রাস্তা হেটে এসেছে।এতে করে ভিজে গেছে তাদের ইউনিফর্ম, পিঠের ব্যাগ। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপম রায় জানান, জোয়ার ভাটার এলাকায় ফসলি জমির কোন ক্ষতি সম্ভাবনা নেই। জলাবদ্ধতা স্থায়ী হলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এ এলাকায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী নয়। তাই ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।