Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার মাসিক সভা সুনামগঞ্জ

বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার মাসিক সভা

রবিবার দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের আয়োজনে শহরের কাজির পয়েন্টস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও কোরবান নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোঃ আবুল বরকতের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ও পাথারিয়া ইউণিযন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুর রশিদ আমিনের সঞ্চালনায় মাসিক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার,সিনিয়র সহ সভাপতি পান্ডারগাওঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদ,লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ,রঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই,শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান জিতু,তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন,মান্নারগাওঁ ইউপি চেয়ারম্যান  আবু হেনা আজিজ,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ মিয়া প্রমুখ। 

চেয়ারম্যানদ্বয় বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ হচ্ছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি । গ্রাম পর্যায়ে সুষম উন্নয়ন সাধিত করতে পারলেই রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সুযোগ সুবিধার যে বিষয়টিতে তাদেরকে পুরোপুরি অবমাননা করা হচ্ছে। তারা বলেন একজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা সম্মানি ভাতা পেয়ে থাকেন,ভাইস চেয়ারম্যান ২৭ হাজার টাকা ভাতাসহ টিএডিএ পেয়ে থাকেন। তাদেরকে সরকার অফিস,গাড়িও দিয়েছেন। অথচ ভাইস চেয়ারম্যানদের সরকার কোন ধরনের কাজ নির্ধারন করে দেন নাই। জেলা পরিষদের সদস্যদের ও সরকার  প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা করে সম্মানি ভাতা দেয়া হচ্ছে। আর তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণ সকালে ঘুম থেকে উঠেই ইউনিয়নের অবহেলিত ও নির্যাতত নারী পূরুষজন বাড়িতে কিংবা অফিসে ভিড় জমান কারো জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ,বিভিন্ন ধরনের অপরাধ,নির্যাতনসহ একাধিক বিষয়গুলো সালিশের মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে হয়। তারপর অফিসে গিয়েও সারাদিন কাজ করে থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে প্রতিমাসে সম্মানি ভাতা হিসেবে যা দেয়া হয় তা ৪ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। তাও মূল সম্মানির অর্ধেক টাকা জনগনের টেস্ক্র এর টাকা তুলতে পারলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই সম্মানিটা হয় নিতে হয় এবং বাকি অর্ধেক টাকা সরকার থেকে পেয়ে থাকেন। জনগন থেকে টেস্ক্র তুলতে না পারলে তো তাদের জীবনচলার গতি থেমে যায়। এরমধ্যে কোন টিএডিএ কিংবা সরকারের অন্যকোন সুযোগ সুবিধা থেকে তারা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা আরো বলেনতাদের কাজ বেশী হলেও সম্মানি নগন্য আর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য যারা আছেন তাদের তেমন একটা দাপ্তরিক কাজকর্ম নেই অথচ তাদের অফিস আছে,টিএডিএসহ সরকারের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। জেলা পরিষদের শত শত কোটি টাকার ফান্ড আছে অথচ ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের জন্য তেমন একটা বরাদ্দ নেই। অবিলম্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্যদের মতো টিএডিএসহ তাদের সমপরিমাণ ৩০ হাজার টাকা প্রতিমাসে সম্মানি ভাতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দারী জানান। 

 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর