Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

ভোলায় শিক্ষার্থী মালার এসিড নিক্ষেপকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ভোলা

ভোলায় শিক্ষার্থী মালার এসিড নিক্ষেপকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যুবকের  এসিড নিক্ষেপে দগ্ধ দুই বোনের মধ্যে বড় বোন তানজিম আক্তার মালা (১৬) দীর্ঘ ৫৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত শনিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন মৃত্যু বরন করে। 

তার লাশ ময়নাতদন্তের শেষে  সোমবার দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি আসলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় এসিড নিক্ষেপকারী মহব্বত হোসেন অপু’র দ্রæত ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।  এব্যাপারে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থী জানান, এছাড়াও তারা অপু’র সহযোগিদের দ্রæত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবীও জানান। 

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে গভির রাতে হেলাল রাড়ির ২ কণ্যা তানজিম আক্তার মালা  (১৬) এবং মারজিয়া (৮) রাতের খাবার খেয়ে দুই বোন এক সাথে ঘুমাতে যায়।  রাত ২ টার পর হঠাৎ করে জ্বানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। এতে এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীন ছাত্রী তানজি আক্তার মালার মুখ মন্ডল,২ চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। 

এছাড়াও তার ছোট বোন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মারজিয়া হাত ও পেটসহ বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। পরিবারের সদস্যরা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই  ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় তাদেরকে  ভোলা থেকে বরিশাল প্রেরণ করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। 

এ ঘটনার ১১ দিন পর ২৬ মে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসিড নিক্ষেপকারি মূল আসামী ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স ১ বর্ষের ছাত্র মহব্বত হোসেন অনুকে ভোলা সদরের দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপু পুলিশকে জানিয়েছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তিনি এসিড নিক্ষেপ করেছেন। এদিকে এসিড দগ্ধ মালার পিতা হেলার রাড়ি জানান, ৫৪ দিন পর ঢাকায় চিকিৎসা দিন ছিলো। শনিবার ঢাকা মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে রাত ১০ টায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মেয়ে মালা মৃত্যু বরন করে।