Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশ দপ্তরে সিডিউল কিনতে বাধা, সাংবাদিকদের সাথে বাজে ব্যবহার ফরিদপুর

ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশ দপ্তরে সিডিউল কিনতে বাধা, সাংবাদিকদের সাথে বাজে ব্যবহার

তুহিন মিয়া পেশায় একজন ঠিকাদার ছোট বড় সব ধরনের কাজ করে থাকেন তিনি পুলিশের। মের্সাস মাহবুব এন্টারপ্রাইজের নামে তার একটি ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভোরের কাগজ পত্রিকায় ওই অফিসের বিভিন্ন খাতের মালামাল সরবরাহ ব্যাপারে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞাপন দেখে সিডিউল কিনতে আসেন হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়ন, ফরিদপুর এর কার্যালয়ে। এসেই পড়েন বিপদে। যেই তার কাছ থেকে জানতে পারেন সে সিডিউল কিনতে এসেছেন সেই পুলিশ তাকে সকলের সামনে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন তাদের অফিস থেকে। 

সে সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি দুঃখ করে বলেন, এই অফিসে যে সিডিউলটি বিক্রি হচ্ছে সেই কাজের সিডিউল কিনতে এসে ছিলেন তিনি। কিনবো কি করে এখানে পুলিশরা নিজেরাই তাদের নির্ধারিত লোক দিয়ে সিডিউল কিনে নিজেরাই জমা দিয়ে কাজ করে থাকেন। এই জন্য আমাকে এখান থেকে বের করে দেওয়া হলো। আমি এখন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কাছে যাব এ ব্যাপারে অভিযোগ জমা দিতে।

এভাবে সাংবাদিকদের সামনে রবিবার দুপুরে করিমপুর হাইয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক রবিউল ইসলাম নিজে পুলিশের লোকজন নিয়ে রাজমনি এন্টারপ্রাইজ, রিজভী এন্টারপ্রাইজ, নূরজাহান এন্টারপ্রাইজের সিডিউল ক্রেতাদের বের করে দেন তাদের অফিসের নিচ থেকে। এসময় ঠিকাদাররা ক্ষুদ্র্র হয়ে সেখান থেকে চলে যান। 

পরে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মরত প্রায় বিশ জন সাংবাদিকদের বের করে দেন এসপি সাহেবের নির্দেশ আছে বলে তিনি। পরে সাংবাদিকরা সেখান থেকে বার বার হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়ন, ফরিদপুর এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইলটি ফোনটি ধরেননি।  

এরপর উপর থেকে সাদা পোশাকে বের হয়ে আসেন হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়ন, ফরিদপুর এর সার্কেল এএসপি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপরের নির্দেশ থাকায় আপনাদের উপরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। আর আমি যেহেতু এই দপ্তরের না সেই জন্য এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। আপনারা হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়ন, ফরিদপুর এর পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেন। এর আগে ঠিক একই কথা বলেন করিমপুর হাইয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক রবিউল ইসলাম এবং সে চরম বাজে ব্যবহার করেন সাংবাদিকদের সাথে।   

এ ব্যাপারে সিডিউল ক্রেতা রাজমনি কনষ্টাকশনের শফিউল আলম বলেন, গত বেশ কদিন ধরে অতিরিক্ত পুলিশ করিমপুর হাইওয়ে থেকে এনে এই অফিসের নিচে বসিয়ে রেখে সিডিউল কিনতে আসা লোকদের বাধা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন কোন লোক এখান থেকে সিডিউল কিনতে পারছে না। এখানে পুলিশের নির্ধারিত লোক দিয়ে সিডিউল কিনে নিজেরাই কাজ করে থাকে।

এ ব্যাপারে জানতে হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়ন, ফরিদপুর এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে বিকেলে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা কাউকে বাধা প্রদান করবো না যারা সিডিউল কিনতে চাই সঠিক কাগজপত্র থাকলে সে কিনতে পারবে। কেন সাংবাদিক ও সিডিউল ক্রেতাদের বাধা প্রধান করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন যারা বাধা প্রদান করছে তারা হয়তো বুঝতে পারেনি।     

উল্লেখ্য, হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়ন, ফরিদপুর এর কার্যালয় অফিসের বিভিন্ন খাতের মালামাল সরবরাহ ও সেবা গ্রহনের একটি উন্মুক্ত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি নং ০২/২০১৮-২০১৯ বের হয়। সেখানে অফিসের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করা হবে বলে কাজের কথা বলা হয়েছে নোটিশে। সে ব্যাপারে  হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়ন, ফরিদপুর এর কার্যালয়ে সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সিডিউল বিক্রির কথা রয়েছে। আর সিডিউল বিক্রি শেষে আগামী মঙ্গলবার দুপুর ১২টার ভিতর জমা ওই দিন দুপুর ২টায় ওই স্থানে বাক্স খোলা হবে বলে টেন্ডার বলা আছে।