মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে চিংরি রেনু আহরনে ধ্বংশ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ভোলা / 
ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে চলছে চিংরি রেনু আহরন। প্রতিদিন কয়েক হাজার নারী, পরুষ ও শিশুরা সারিবদ্ধ ভাবেই শিকার করছে এ সকল বাগদা রেনুর পোনা। আর এ রেনু আহরন করতে গিয়ে ধ্বংশ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনুপোনা।
এতেকরে বিলুপ্তর পথে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে নদী থেকে এ সকল রেনুপোনা আহরন সম্পূর্ন নিষিদ্ধ হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় নির্বিকার যেন প্রশাসন।
বছরের চৈত্র থেকে আশাঢ়’ এ ৪ মাস বাগদা চিংরি রেনু পোনা আহরনের মৌসুম। এ সময় প্রকৃতিকগত ভাবে নদীগুলোতে উৎপন্ন হয় চিংড়ি রেনু পোনা।
দেশের দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোতে এ সকল রেনু পোনার ব্যপক চাহিদা থাকায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও প্রতিদিন ভোলার লক্ষাধিক জেলে জাল নিয়ে নেমে পড়ছেন রেনু আহরনে।
স্বল্প পরিশ্রমে ব্যপক লাভজনক হওয়ায় জেলে পরিবারের নারী, পুরুষ এমনকি শিশুরাও ঝুকছেন এ পেশায়।
চিংড়ি রেনুপোনা আহরন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ মশারি জাল। যার মাধ্যমে এক একটি চিংড়ি পোনার সাথে ধ্বংশ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতি মাছের লাখ লাখ রেনু পোনা। মৎস্য আইনে এ সকল রেনুপোনা আহরন নিষিদ্ধ হলেও যেন নির্বিকার রয়েছে প্রশাসন।
এব্যাপারে ভোলা সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্তকর্তা মো: আসাদুজ্জামান জানান, মৎস্য আইনে এ সকল রেনুপোনা আহরন নিষিদ্ধ আহরন ও রেনু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।