Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

রাজধানীতে শুরু হয়েছে জাতীয় ফল মেলা রাজধানী

রাজধানীতে শুরু হয়েছে জাতীয় ফল মেলা


রাজধানীতে শুরু হয়েছে জাতীয় ফল মেলা। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৮ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এ মেলার উদ্বোধন করেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর ফার্মগেটস্থ আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়াম চত্বরে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপি এ মেলা চলবে ২৪ জুন পর্যন্ত। এবারের প্রতিপাদ্য‘অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা, ফলের পুষ্টি দেবে নতুন মাত্রা’। 

শুক্রবার (২২ জুন) ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়াম চত্বর পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে ‘মানব সম্পদ উন্নয়নে পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলের অবদান’ শীর্ষক সেমিনারের অনুষ্ঠিত হয়।


সেমিনারের আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের আবহাওয়ায় বছরজুড়ে ফসল উৎপাদনের উপযোগী। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অধিক জনসংখ্যার মধ্যেও কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের অনেক উন্নতি হয়েছে। যা অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়।

মন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি জমির পরিমাণ দিন দিন কমছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য উৎপাদন ধরে রাখতে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফলের বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়লেও সংগ্রহোত্তর অপচয় ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে অনেক ফল নষ্ট হয়। এ জন্য উন্নত ব্যবস্থাপনা ও ছোট-মাঝারি শিল্প স্থাপন করতে হবে। তাহলে সারা বছর ফল পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক কৌশল অবলম্বন ও কার্যকরী রাসায়নিক প্রয়োগ করতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কাঁঠালকে জাতীয় ফল ঘোষণা করেছেন। কাঁঠালের পুষ্টিগুণ অপরিসীম। গ্রামে যখন এক সময় খাবারের অভাব ছিল, তখন মেহনতি মানুষের পুষ্টির যোগান দিতো কাঁঠাল। কাঁঠালের সব কিছুই ব্যবহার করা যায়।

তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব ফলের জাতের উৎকর্ষতা ঘটাতে হবে, পাশাপাশি বিদেশি ফলের অভিযোজন ঘটাতে পারলে সারা বছর ফল পাবো।

এবারের মেলায় ৯টি সরকারি ও ৫১টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮১টি স্টল রয়েছে। মেলায় আমের ১০২টি জাতসহ ৯৯ প্রজাতির ফল প্রদর্শন হচ্ছে। এর মধ্যে প্রচলিত ফল ৫৪, অপ্রচলিত ৩৬ ও বিদেশি ফলের জাত ৯টি রয়েছে। এ ছাড়াও মেলায় রয়েছে জাতীয় ফল কাঁঠালের একটি বিশেষ কর্নার। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পারবেন।