Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

৪ দিনের অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজার

৪ দিনের অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার রোহিঙ্গা

 
টানা ৪ দিনের ভারী বর্ষণে উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ে আশ্রয়রত ১২ লাখ রোহিঙ্গার মাঝে প্রায় ২২ হাজার রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাতাসে তাবু উঠে যাওয়া, অতিবৃষ্টিতে শিবির তলিয়ে যাওয়া, বজ্রপাতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়াসহ নানাভাবে এসব রোহিঙ্গা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
মঙ্গলবার একদিনেই এমন ২৯টি ঘটনাসহ গত শনিবার থেকে এ পর্যন্ত ৮৮টি ঘটনায় প্রায় ২২ হাজার রোহিঙ্গা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেছে ক্যাম্প সংশ্লিষ্টরা। বর্ষণ না থামলে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে শঙ্কা তাদের।
সূত্র জানায়, অতিবর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসে মঙ্গলবার ৯৯ জন রোহিঙ্গা ছোটবড় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। একই সময়ে ১৩০টি শেল্টার হোম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র সাইট পরিচালনাকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তীব্র বাতাস ও অতিবর্ষণে ক্যাম্পের রাস্তাগুলো সংকীর্ণ হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে চলাচল। বৃষ্টি না থামলে ক্ষতি পরিমাপ করা সম্ভব হবে না।
 
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবারের বর্ষণে উখিয়ার ৬টি ক্যাম্পের ৯৯ জন আহত ও ১৩০টি শেল্টার হোম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার থেকে এ পর্যন্ত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে প্রায় দুই হাজার ৩৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র।
 
জাহাঙ্গীর বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো মেরামত করতে কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ড্রেনেজ কালভার্টস নিষ্ক্রিয়করণ, অ্যাক্সেস সড়ক থেকে ভূমিধস অপসারণ করা, নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল ও বৃষ্টির পানি বণ্টন।
 
এদিকে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় গত দুইদিনে ঝড়ের কারণে ৮৫টিসহ ৪ দিনে মোট ১৮৯টি টয়লেট ও ১১টি পানির পয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয়রত। তাদের জন্য সাত হাজার একরেরও বেশি পাহাড় ধ্বংস হয়েছে। যে হারে বর্ষণ হচ্ছে সেভাবে কিন্তু রোহিঙ্গাদের ক্ষতি হয়নি। পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় আমরা রোহিঙ্গা জানমালের নিশ্চয়তা দিতে পেরেছি।