Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

খালেদার কুমিল্লার মামলাও বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তির নির্দেশ আইন ও আদালত

খালেদার কুমিল্লার মামলাও বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তির নির্দেশ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা নাশকতার অভিযোগের মামলাও বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
এর আগে চেম্বার আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ঢাকার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বর জজ আদালত এ আদেশ দেন।
 
কুমিল্লার মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মাহবুবে আলম এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
 
কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর গত ৭ জুন শুনানি হয়। শুনানিকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন আবেদনের শুনানি করতে বিচারিক আদালতের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে আবেদন জানায় এবং এ সংক্রান্ত গত ৬ জুনের হাইকোর্টের একটি রায় আদালতে উপস্থাপন করেন।
 
কিন্তু সে রায় পড়তে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রোববার (১০ জুন) পর্যন্ত সময় আবেদন করেন। এরপর আদালত সময় মঞ্জুর করে মামলার শুনানি মুলতবি রেখেছিলেন। রোববার মামলার শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১১ জুন) পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
 
২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রলবোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
 
চলতি বছরের গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
 
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকেলে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে বন্দি রয়েছেন।