Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

বশেমুরবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের দৌড়-ঝাপ শুরু গোপালগঞ্জ

বশেমুরবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের দৌড়-ঝাপ শুরু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক কমিটিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম ইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন অনলাইন ও কয়েকটি পত্রিকায় “গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের অতীত ইতিহাস কি ?” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তার দৌড়-ঝাপ শুরু হয়।

বর্তমানে ফাতেমা খাতুন নিজেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন পন্থী কিছু শিক্ষকদের নিয়ে ঢাকায় রওনা হয়ে যান। তাদের টার্গেট যে কোন মুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক কমিটিকে ভেঙ্গে দিয়ে ফাতেমা খাতুনের নেতৃত্বে নতুন কমিটির অনুমোদন করিয়ে আনবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক কমিটিকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন। তিনিও বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তার ব্যবহৃত গাড়ীতে আরো কয়েকজন শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ডা: এস এ মালেকের এক আত্মীয়কে নিয়ে রাতেই ঢাকা রওনা হয়ে যান।

এ ছাড়াও সংবাদ প্রকাশের পর ফাতেমা খাতুন সাংবাদিকদের নামে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আমি ছাত্রদলের নেত্রী ছিলাম ঠিকই কিন্তু কখনো কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের ছাত্রদলের নেত্রী ছিলাম না। আমি ছিলাম ফজিলাতুননেসা মুজিব হলের ছাত্রদলের নেত্রী। কেন খালেদা জিয়া হল লেখা হয়েছে সে কারনে মামলা করবেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর ফাতেমা খাতুন তার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১৩-৭৬১১৪৭ নম্বর থেকে ফোন করে এই প্রতিবেদককে ঢাকায় তার সাথে সাক্ষাত করার জন্য বার বার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি বলেন আমার সাথে আপনি বসুন আপনাকে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির অনেক তথ্য দিতে পারবো যা লিখে আপনি মজা পাবেন। যে তথ্য গোপালগঞ্জে বসে দেওয়া সম্ভব না। প্রতিবেদক সাক্ষাত করার আশ্বাস দিলে তিনি বিদায় নিয়ে ফোনটি কেটে দেন।

ফাতেমা খাতুন সাবেক ছাত্রদলের নেত্রী হওয়া সত্বেও বর্তমানে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির সুবাদে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া সৈনিক বলে জাহির করে থাকেন। অথচ তিনি ছিলেন জামাত-বিএনপি দলের একজন নেতা যার একাধিক প্রমান কুষ্টিয়াবাসী জানেন। প্রকৃত পক্ষে ফাতেমা খাতুন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয় কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষে পড়ালেখা চলাকালীন যখন তার স্বামী মিজানুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন থেকেই। যেহেতু মিজানুর রহমান ছিলেন খুব প্রভাবশালী ছাত্রদল নেতা সেই সুবাদে ফাতেমা খাতুনও খুব গর্বের সঙ্গে একই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, ফাতেমা খাতুন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাষক পদে চাকরীর জন্য আবেদন করলে তার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিএনপি জামাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তার নিজের ডিপার্টমেন্টেই চাকরী হয়নি। অবশেষে ফাতেমা খাতুন হামদার্দ ইউনিভার্সিটিতে কয়েক বছর চাকরী করার পর শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি (যার নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর থাকাকালীন জিয়া পরিষদের সঙ্গে রাজনীতি করার অভিযোগ আছে) প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন তাকে কোনো প্রকার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড তোয়াক্কা না করে বিএনপি-জামাতপন্থী হওয়ার কারনে ফাতেমা খাতুনকে নিয়োগ প্রদান করেন।

ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অনলাইন ও কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এক এক করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। অনেকে ফোন করে আবার অনেকে সরাসরি এসে শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে নানা অজানা তথ্য সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করছেন। যা পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।

গোপালগঞ্জে অবস্থিত জাতির পিতার নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিএনপি-জামায়াতের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে কলংকিত করা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ মহলসহ সাধারন মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএনপি-জামায়াতের শিক্ষকদের অপসার ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং মানসম্মত শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারন ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিজ্ঞ মহল।

এই বিভাগের অন্যান্য খবর