Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মোরেলগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ঢাকা দিতে অপতৎপরতার অভিযোগ বাগেরহাট

মোরেলগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ঢাকা দিতে অপতৎপরতার অভিযোগ


বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ২৩৭ নং সিএস পাঠামারা সরকারি (সদ্য) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কথিত শিক্ষক নেতা ওমর ফারুক কর্তৃক সহকারী শিক্ষা অফিসার লাঞ্চিতসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি ঢাকা দিতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির প্রমান মিললেও এখনো তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। 
     অভিযোগে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক এসব অনিয়ম দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাসুম বিললাহ উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. বশিরুল আলমকে আহবায়ক ও অপর ২  সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম ও মো. মো¯তাকিম বিললাহকে সদস্য করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদšত কমিটি গঠন করেন। সরজমিনে তদšতটিম বিদ্যালয়ের সভাপতি, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সত্যতার প্রমান পাওয়ার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়ে।

তদšেত সিলিপের অর্থ ব্যয়, বাজেট, ক্যাশবহি , ষ্টক রেজিষ্টার , কমিটির রেজুলেশন বহি, সামাজিক মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন, এসএমসির নোটিশ বহি, রেজুলেশন বহি. পিটিএ রেজুলেশন বহি, উপবৃত্তি রেজিষ্টার প্রদর্শনে ব্যর্থ সহ  অতিরিক্ত শিক্ষার্থী দেখিয়ে টাকা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
       এছাড়াও বিগত ৩ অর্থবছরের সিলিপের বরাদ্দকৃত ৯০ হাজার টাকার কোন মালামাল ও ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিকের জন্য বরাদ্ধকৃত ৫ হাজার টাকা ভূয়া ভাউচার জমা দিয়ে নিজেই পকেটস্থ করেছে প্রধান শিক্ষক। 
  উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাসুম বিললাহ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে শোকজ নোটিশ প্রদান করলেও তিনি সšেতাষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি উক্ত প্রধান শিক্ষক তার শোকজ নোটিশের জবারের স্বপক্ষে কাগজপত্র দিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন বলে  উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান। অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঐ  শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদšেতর জন্য বাগেরহাট সদর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আবদুল মান্নানকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট অপর একটি তদšত টিম গঠন করেন। 
এ টিম গত ৩১ আগষ্ট সরেজমিনে তদšেতর জন্য প্রধান শিক্ষককে স্বপক্ষের কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করলেও তিনি পরিকল্পিতভাবে ১ মাসের সময় চেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করলে তদšত কার্যক্রম থমকে যায়। এ সুযোগে সুচতুর প্রধান শিক্ষক নিজের দুর্নীতি ঢাকা দিতে ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার দুর্নীতি ভিন্নখাতে নেয়ায় অপচেষ্টার অংশ হিসেবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রহিয়াছে।
  উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৪ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর একটি চক্র ইতোপূর্বে মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী খানের নাম ব্যবহার করে সচিব, মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করান। পরে বিষয়টি তিনি জানতে পেরে এই কুচক্রটি মহলের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানান। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তদšত কমিটি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার পৃথক পৃথক সুপারিশ  করলেও এখনো বিষয়টি ঝুঁলে থাকায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ##