Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

বিশ্বভারতীতে শেখ হাসিনার জন্য প্রস্তুত উপহারের ডালি আন্তর্জাতিক

বিশ্বভারতীতে শেখ হাসিনার জন্য প্রস্তুত উপহারের ডালি

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য উপহারের ডালি সাজানো হচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগামীকাল শুক্রবার (২৫ মে) বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন এবং বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে শেখ হাসিনার আগমন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে। সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

রবীন্দ্র ভবনের স্পেশ্যাল অফিসার নিলাঞ্জন বন্দোপাধ্যায় জানিেছেন, “আমরা আমাদের অতিথিদের সব সময় রবীন্দ্রনাথের স্মৃতির সাথে জড়িত বা শান্তিনিকেতনের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোনো উপহার দেই ... বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন রবীন্দ্র অনুরাগী... তাই ওনার হাতে তুলে দিতে চাই এমন কিছু জিনিস, যা ওনার ভালো লাগবে।”

তিনি আরও জানান, উপহার সামগ্রীর মধ্যে থাকছে রবীন্দ্র চিত্রাবলী, শিক্ষক গৌতম দাশের তৈরি পরামাটির শিল্পকর্ম, শিক্ষক শেখ শাহজাহানের তৈরি একটি এনামেলের চিত্রকর্ম, নিলাঞ্জন ব্যানার্জির ক্যালিগ্রাফি এবং কবিগুরুর ছবি সমগ্র।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই রবীন্দ্র অনুরাগী, তাইতো শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ভবনে একান্তে মিনিট দশেক কাটাবেন। এজন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রবীন্দ্র ভবনকে আরও সুন্দর করে সাজাচ্ছেন। কারণ এই প্রথমবার কোনো রাষ্ট্রপ্রধান রবীন্দ্র ভবনে সময় কাটানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।

বিশ্বভারতীর এক কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, “রবীন্দ্র ভবনে শেখ হাসিনা কিছু সময় কাটাবেন ... এর এক আলাদা তাৎপর্য আছে। কারণ উনি হবেন প্রথম বিদেশি প্রধানমন্ত্রী যিনি রবীন্দ্র ভবনে কবিগুরুর ঘরে পা দেবেন।”

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে পুরো বিশ্বভারতী সাজছে নতুন রঙে এবং আভিজাত্যে। বাংলাদেশ ভবন নিয়ে বিশ্বভারতীতে সবার অনেক আগ্রহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের পীঠস্থানে বাংলাদেশ সরকারের ২৫ কোটি টাকা অনুদানে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। এতে থাকছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংগ্রহশালা, লাইব্রেরি এবং অডিটোরিয়াম। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আশা, বাংলাদেশ ভবন দুই দেশের সম্পর্ককে আরো মজবুত করবে।