Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

ঝালকাঠির ৩৯ কিলোমিটার মহাসড়ক বর্ধিতকরণ সমন্বয়হীনতায় ব্যাহত ঝালকাঠি

ঝালকাঠির ৩৯ কিলোমিটার মহাসড়ক বর্ধিতকরণ সমন্বয়হীনতায় ব্যাহত

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অধীনে শুরু হয়েছে মহাসড়কের দু’পাশে ৩ ফুট করে বর্ধিত করণের কাজ। বন বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতের সাথে সমন্বয়হীনতার কারণে বর্ধিতকরণ কাজ ব্যহত হচ্ছে। তবে এ সমন্বয়হীনতার জন্য এক দপ্তর অপর দপ্তরকে দায়ী করছে। 

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আঃ মোতালেব জানান, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি জেলায় প্রবেশদ্বার কালিজিরা ব্রিজের পশ্চিম পাড় ঝালকাঠির অংশ থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত মহাসড়কের দু’পাশে বর্ধিত করণের কাজ শুরু হয়েছে। মহাসড়কের  প্রতি পাশে ৩ ফুট করে মোট ৬ ফুট বর্ধিত করণের কাজ চলছে। বর্ধিতকরণের আওতায় ৩৯ কিলোমিটারে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৯ কোটি টাকা।  রাস্তার দু’পাশে আমরা কাজ শুরু করার আগেই দুটি দপ্তরকেই চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন দপ্তরই কাযকরী ভূমিকা নেয়নি। যার জন্য ওইসব স্থানে বর্ধিত করণের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। 

ঝালকাঠি ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ নাবিল হোসেন জানান, ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৪ কিলোমিটার বরিশাল-ভান্ডারিয়া মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে বর্ধিত করণের কাজ শুরু করেছি। বর্ধিত করণের সীমানায় বেশ কিছু বনবিভাগের গাছ ও পল্লী বিদ্যুতের লাইট পোস্ট রয়েছে। কাজ শুরুর পূর্বেই আমরা তাদেরকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি। বনবিভাগ এখন পর্যন্ত টেন্ডার আহ্বান করেনি এবং পল্লী বিদ্যুতও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা ওইসব স্থানে আমাদের কাজ ব্যহত হচ্ছে। 

ঝালকাঠি সদর উপজেলা বনকর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল ইসলাম বাকলাই বলেন, ঝালকাঠি ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ আমাদের কিছু না জানিয়েই কাজ করছে। তারা যেমন ইচ্ছে তেমন করছে। আমাদের এখন পর্যন্ত অবহিত করেনি। 

ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হক জানান, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর থেকে মহাসড়ক বর্ধিতকরণ সামীনার মধ্যের বৈদ্যুতিক খুটিগুলো স্থানান্তর করার জন্য চিঠি পেয়েছে। আমরা স্থানান্তরের জন্য শ্রমিক ও ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে।  জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।