Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

স্কেলে হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে পণ্যবাহী গাড়ি বন্ধ থাকবে

চট্টগ্রামে পরিবহন গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পরিবহন গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় দারোগাহাটে পণ্যবাহী গাড়ির ওজন স্কেলের নামে হয়রানি ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করা না হলে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মালিক সমিতি। বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্কেলের ওজন মাপার নামে পণ্য বোঝাই পরিবহনের হয়রানি, অবৈধ পরিবহন মালিক সমিতির নামে গণহারে চাঁদাবাজি ও যানজট নিরসনের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন। আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি এবং চট্টগ্রাম ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মালিক সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

যমুনা সেতুর মতো সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্কেল বসানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়া অন্য কোথাও এ সর্বনাশা স্কেল পদ্ধতি নেই। এ স্কেলটি দেশের পরিবহন বিভাগ ও জনগণের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রামের পরিবহন বিভাগকে হয়রানি ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ধ্বংসের জন্য এ স্কেল বসানো হয়েছে। স্কেলের কারণে প্রতিদিন মাইলের পর মাইল ম্যারাথন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, যানজটের কারণে একদিকে বন্দরে মালামাল খালাসের ওপর প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি আটকে থাকায় প্রচুর জ্বালানি তেল অপচয় হচ্ছে। চুরি-ডাকাতি বাড়ছে।

বন্দরের টোল রোডে প্রতিদিন ১০ হাজার পণ্য বোঝাই গাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ টাকার একটি অংশ কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগী নেতাদের পকেটে যায়।  উপস্থিত ছিলেন যৌথ সমিতির সদস্যসচিব দ্বীন মোহাম্মদ, সদস্য  মো. আজিজুল হক, মনির আহমদ, মো. ফরিদ উদ্দিন, মোহাম্মদ সেলিম রেজা, সালেহ আহমদ, কামাল উদ্দিন প্রমুখ। দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, দারোগাহাটে যে গাড়িতে ২২ টনের বেশি ওজন বলে হয়রানি করা হয় দাউদকান্দির স্কেলে সেটিতে ওজন কম দেখায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমাদের গাড়ি যদি চালাতে না পারি তবে পণ্যবাহী গাড়ি বন্ধ করে দেব। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।