নড়া নদীর স্লুইচ গেটে জাল ধরা নিয়ে ২ ইউপি সদস্যসহ একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা খুলনা / 
পাইকগাছায় লতার আলোচিত নড়া নদীর স্লুইচ গেটে জাল ধরাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় সাবেক দু’ইউপি সদস্য সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, গেট বিক্রি করে প্রভাবশালীরা পকেট ভারী করছেন।
থানায় মামলার কথা জানিয়ে লতা ইউপির বামনের আবাদ গ্রামের মৃত শিবপদ মন্ডলের ছেলে মঙ্গল মন্ডল জানান, চলতি বছরে লতা ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস ও স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড সদস্য প্রদীপ মহালদারের সহযোগিতায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে মুনকিয়াস্থ নড়া নদীর দক্ষিণ মাথায় স্লুইচ গেটে বেনটি জাল দিয়ে মাছ ধরে আসছিলাম। গত ১৭ মে সন্ধ্যায় জাল ধরা অবস্থায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সাবেক ইউপি সদস্য চিত্তরঞ্জন মন্ডলের হুকুমে প্রতিপক্ষরা আমাদের মারপিট করে জাল ছিনিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করে চলে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গল বাদী হয়ে ১৮ মে থানায় সাবেক ইউপি সদস্য চিত্তরঞ্জন মন্ডল, সঞ্জয় রায় সহ একাধিক ব্যক্তির নামে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জন মন্ডল ও সঞ্জয় রায় অভিযোগ করেন, গত ইউপি নির্বাচন ও নড়া নদীর বিরোধে প্রতিপক্ষরা এ মামলা করে হয়রানী করছেন এবং ইতোপূর্বে এ নদীর স্লুইচ গেট বিক্রিত অর্থ স্থানীয় মসজিদ, মন্দির ও সামাজিক উন্নয়নের কাজে ব্যয় হতো। কিন্তু এবার লতা ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস ও তার সহকর্মীরা লক্ষাধিক টাকার গেট বিক্রি করে এ বিরোধের সৃষ্টি করেছেন।
গেট বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে লতা ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অসত্য।