Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

চট্টগ্রামের পিপলস হাসপাতাল থেকে জমজ নবজাতকের একটি ‘নিখোঁজ’ চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের পিপলস হাসপাতাল থেকে জমজ নবজাতকের একটি ‘নিখোঁজ’

এবার জমজ নবজাতকের এক ছেলে সন্তানকে চুরির অভিযোগ উঠেছে নগরের বেসরকারি পিপলস হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ছেলে ও মেয়ে দুই নবজাতক জন্মগ্রহণ করলেও ছেলেটি ‘মৃত’ ও ‘অর্ধগলিত’ ছিলো। তাই হাসপাতালের আয়া ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে! এর আগে মঙ্গলবার ভোরে নগরের পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকার মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীর স্ত্রী আমেনার (২৬) প্রসব বেদনা শুরু হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পূর্ব পাশে বেসরকারি পিপলস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।   

ভূক্তিভোগী পরিবারের আত্মীয় ইশা বলেন, ভোর ৫টার দিকে প্রসব বেদনা বেশি হলে পিপলস হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় ভাবিকে (আমেনা)। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সিজিরিয়ানের মাধ্যমে ভাবির দুটি জমজ বাচ্চা হয়। একটি ছেলে, আরেকটি মেয়ে। কিন্তু জন্মের পর হাসপাতাল থেকে জানানো হলো মেয়ে শিশুটি সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করলেও ছেলে সন্তানটি মৃত। জীবিত অবস্থায় মেয়ে শিশুটিকে দেওয়া হলেও মৃত ছেলেটিকে আমাদের দেওয়া হয়নি। পরক্ষণেই মা আমেনা বেগম মৃত ছেলেটির মুখ দেখতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে সেটি দেখাতে গড়িমসি করেন। তারা বলছে মৃত ছেলে সন্তানটির মরদেহ ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিপলস হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আহাদ বলেন, ‘জমজ বাচ্ছার মধ্যে ছেলে সন্তানটি মৃত জন্মগ্রহণ করে। শুধু মেয়ে শিশুটি জীবিত ছিলো। কিন্তু মৃত ছেলেটিকে আয়া ‘ভুলক্রমে’ ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে।’ কিন্তু মৃত ছেলে সন্তানটি পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হলো না কেন, এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. আহাদ বলেন, ‘ছেলেটি অর্ধগলিত ছিলো। তাই আয়া কাউকে না জানিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। এরপরেও নবজাতকটি এখন খোঁজা হচ্ছে। দেখি কি হয়। পাঁচলাইশ থানার ডিউটি অফিসার মো. খোরশেদ বলেন, ‘পিপলস হাসপাতালে নবজাতক চুরির খবর পাওয়া গেছে। থানা পুলিশ সেখানে তদন্তে যাচ্ছে।’