বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় কার্যক্রম ব্যহত গোপালগঞ্জ / 
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ে বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক এডহক কমিটি গঠিত না হওয়ায় লেখাপড়া ও উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে ওই বিদ্যালয়ে মানসম্মত পাঠদান সম্ভব হচ্ছেনা। সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ করা যাচ্ছেনা এবং বিদ্যালয়ের আয় ব্যয় সঠিক ভাবে ব্যাংকে জমা করা সম্ভব হচ্ছেনা। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন দাস বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি এডহক কমিটি গঠনের জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করে। সে মোতাবেক অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়। কিন্তু বোর্ড অফিসে সভাপতি পদে মনোনয়নের প্রস্তাব পাঠানোর আগেই জালজালিয়াতি করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ আলম এডহক কমিটির সভাপতি হয়ে আসেন। পরে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করা হলে বোর্ড কর্র্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করে সভাপতির মনোনয়ন স্থগিত করেন। এরপর বোর্ডের চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশে প্রধান শিক্ষক গত ২৫ এপ্রিল এডহক কমিটির সভাপতির মনোনয়নের প্রস্তাবসহ পুর্নাঙ্গ এডহক কমিটি দাখিল করেন। কিন্তু আজও তার অনুমোদন পাওয়া যায়নি। ফলে লেখাপড়াসহ বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যাক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় অবিভাবক শৈলেন বিশ্বাস বলেন, এডহক কমিটি নিয়ে টানাপোড়েনের কারনে আমাদের সন্তানরা সঠিক ভাবে শিক্ষা গ্রহন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এ অবস্থার নিরসন হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
বৌলতলী সাহাপুর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আশরাফুল আলম জানান, রহস্যজনক কারনে এডহক কমিটি অনুমোদনে তালবাহানা শুরু করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। জাতির জনকের জম্মস্থান গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যাক্রম সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেবেন বলে তার প্রত্যাশা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম মোর্শেদ বলেন, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক বোর্ড অফিসে সভাপতি পদে মনোনয়নের প্রস্তাব পাঠানোর আগেই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মাহমুদ আলম এডহক সভাপতি হিসেবে অনুমোদন পেয়েছেন বলে শুনেছি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে ম্যানেজিং কমিটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন।