Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি থাকবে না : এসপি মিলি রাজবাড়ী

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি থাকবে না : এসপি মিলি

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের গুরুত্বপূর্ন নৌপথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া দিয়ে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবার রাজবাড়ী জেলা পুলিশ কয়েকটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছে।

মানুষে ভোগান্তি কমাতে রবিবার সকালে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিটিসি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আয়োজন করা হয় এক মত বিনিময় সভা। 

সভায় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে কাজ করে সরকারের চারটি সংস্থা তাদের কারনে বদনামের ভাগ নিতে হয় জেলা পুলিশকে। এবছর আমরা চারটি সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করবো, মানুষ যাতে ঈদ করতে কোন প্রকার ভোগান্তি ছারা বাড়ি যেতে পারে সেজন্য দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করবে। ঘাট এলাকার ছিনতাই রোধ করতে গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে।  কোন অবস্থায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কোন প্রকার বাস এবং মাহেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত ভারা আদায় করা যাবে না। দৌলতদিয়া ঘাটে বিভিন্ন এলাকার দুরত্ব এবং ভারা চার্ট টানিয়ে দিতে হবে। সর্বপরি ঘাট এলাকার নিরাপত্তার কথা ভেবে ঈদের আগেই সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

পুণিশ সুপার এ সময় লঞ্চ মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন ঈদের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ পারাপার হবে কোন অবস্থায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করবেন না। আমাদের টহল পুলিশ থাকবে যদি কেউ বাড়তি লোক লঞ্চে পরিবহন করেন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে। 

এ সময় শ্রমিক নেতারা বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে কুষ্টিয়া কাউন্টার পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ এখানে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সড়ক মেরামত না করা হলে ঘাট এলাকায় জানজট লেগেই থাকবে এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। 

বিআইডব্লিউটিএর সহকারী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়ায় থাকা পাচটি ঘাটের মধ্যে বর্তমানে চারটি ঘাট ভালো আছে, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কোন সমস্যা থাকবে না। মানুষ ভালো ভাবে পারাপার হতে পারবে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌপথে বর্তমানে ১৬ টি ফেরি চলা চল করছে ঈদের পনের দিন আগে আরো ৩টি ফেরি বৃদ্ধি পাবে মোট ১৯ টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হবে। যদি কোন ফেরি বিকল হয় তাৎক্ষনিক মেরামতের জন্য লোকবল এবং যন্ত্রাংশ রাখার জন্য মন্ত্রনালয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।