উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পাইকগাছা কেন্দ্রের সমন্বয়কের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ খুলনা / 
বাংলাদেশ উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাইকগাছা ফসিয়ার রহমানের মহিলা কলেজের বিএ/ বিএসএস প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের বিএ/ বিএসএস প্রোগ্রামের সেন্টার অনুমোদন দেন। যার প্রেক্ষিতে উক্ত কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলামকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেন। তিনি সমন্বয়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর সরকারি বিধি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি সেমিস্টার পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে অতিরিক্ত ২শ টাকা করে হাতিয়ে নেয় এবং অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে পরিচয়পত্র ও প্রশংসাপত্র দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকেন। রফিকুলের অদক্ষতার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানার ভুল সহ বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উক্ত কেন্দ্রের সার্বিক বিষয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে। বর্তমানে কলেজের বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামের পরীক্ষা প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে কলেজ কেন্দ্রে চলছে। সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছে। শুক্রবার ইংরেজী পরীক্ষায় কলেজের ৩টি রুমে ১২৯জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পরিদর্শকের নেতৃত্বে ও সমন্বয়কের সার্বিক সহযোগিতায় নকলের মহোৎসব চলে বলে জানা যায়। এ সংবাদ জানতে পেরে পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডঃ এফএমএ রাজ্জাকের নেতৃত্বে কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিনে দেখতে গেলে কলেজ গেটের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে রাখা হয় এবং তাদেরকে কলেজে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কলেজের সহকারী অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস সহ ১৯জন শিক্ষক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলনার আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার অনুলিপি ডীন সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে খুলনার আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক ০৪১৭৫১৭৯৫ টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।