মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মালেকুজ্জামানের কবিতা ‘পবিত্র মাহে রমজান’ শিল্প ও সাহিত্য / 
বছর ঘুরে আসল আবার মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান,
তিনটি পর্বে বিভক্ত এই মাসটি, যাহা পবিত্র কোরআনে রহিয়াছে প্রমাণ।
প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাকফেরতের আর তৃতীয় দশদিন নাজাতের জন্য,
সিয়াম সাধনার মাঝে যিনি, ইহা করিতে পারিবেন অর্জন তিনিই হইবেন ধন্য।
মহান আল্লাহ নিজেই করিবে মোমিনদেরকে ইহার ফযিলত ও সোয়াব বিতরণ,
উহা প্রাপ্তীতে বঞ্চিত হইবেন যে-জন, তাহার ন্যায় হতভাগা আর হইবেন না কোনজন।
পবিত্র কোরআন, নাজিল করিয়াছেন আল্লাহ, এই সিয়াম সাধনারই পবিত্র রমজান মাসে,
যাহার পবিত্রতা ও ভারসাম্য রক্ষা করেছেন বিশ্বনবী (স:) মহান শ্রষ্ঠার আদেশে।
কত জ্ঞানী-গুনি, কত ঋষি-মনিষী, কত বিদ্যান-বিজ্ঞানী আছেন এবং চলিয়া গিয়াছেন অতিতে,
বিশ্বের কেউ আজও পারেননি একটিও হরফ এই কোরআন এর মাঝে সংযোগ করিতে।
পৃথিবীতে সর্ব সম্মানীত ও সত্য গ্রন্থ যাহা সৃষ্টি হতে এখনও দেখতে পেলে,
যাহা অন্তরের মাঝে এক হয়ে আছে ঐ হাফেজদের দিলে দিলে।
কাতারে কাতারে তারাবি নামাজ পড়ি যখন মসজিদে-মসজিদে,
তখন সবভুলে ভাই, এক হয়ে যাই, মিশে মুসল্লিদের কাঁধে কাঁধে।
আল্লাহর আদেশ পালনে আসুন রোজা রাখি আর নামাজ পড়ি,
আর তাঁরেই করুনা পাইতে সকলে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি।
আল্লাহর আদেশ করিলে পালন তাতে বান্দার হয় পাপ মুক্তি,
সৃষ্টির লাগি থাকে ভালবাসা আর শ্রষ্ঠার তরে থাকে ভক্তি।
উত্থান দিনে হাশরের মাঠে পাবে মহান আল্লাহ আর নবীজির সাক্ষাৎ,
কোরআন এর কথায় ঘোষণা আছে শুধু, সৎ মানবেরই হবে জান্নাত।