সৈয়দপুর রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে ১১ ঘর পুড়ে ছাই নীলফামারী / 
রহস্যজনক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৪ পরিবারের ১১টি বসত ঘর ভষ্মিভুত হয়েছে। এ সময় অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে একটি গরু মারা গেছে। শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালীপুর ইউনিয়নের চরকপাড়া গ্রামে রহস্যজনক ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে নগদ দেড় লাখ টাকা, ধান, চাল, আসবাবসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
গ্রামের মৃত. নছি উদ্দিনের ছেলে রইস উদ্দিন প্রামানিক অভিযোগ করে জানায়, শুক্রবার ভোর রাত ৩টার দিকে তার আধাপাকা শোয়ার ঘরের বাহিরে অংশে হঠাৎ করে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখার তাপে ঘুমন্ত বাড়ির লোকজন জীবন বাঁচাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে এলে বাহিরে থাকা মুখোশধারী দুই ব্যাক্তি পালিয়ে যায়। সে সময় পেট্রোলের গন্ধ পাওয়া যায়। আগুনের লেলিহান শিখা মূহুর্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে রইস উদ্দিনের ১ ঘর ও তার বাড়ির সাথে লাগানো বাবুলের ২টি ঘর, আব্দুল মজিদের ৩টি ঘর ও জয়নাল আবেদীনের ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয় ও একটি গরু অগ্নিকান্ডে দ্বগ্ধ হয়ে মারা যায়।
রইস উদ্দিন প্রামানিক সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের মৃত. নেহাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফুরের সাথে বাড়ির ভিটার কিছু জমি নিয়ে তার দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধে সে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকান্ড ঘটাতে পারে। তবে আব্দুল গফুর তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, রইছের সাথে বাড়ির ভিটা নিয়ে বিরোধ আছে কিন্তু আগুন লাগিয়ে বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার মতো ঘৃণ কাজটি আমি বা আমার পরিবার করেনি।
খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বাঙালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ্জাদা সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অগ্নিকান্ডে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।