কেসিসি নির্বাচন
সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাত পোহালেই ভোট খুলনা / 
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাত পোহালেই ভোট। সরকার দলীয় প্রার্থী যেমন বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে, তেমনি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির আশঙ্কার কথা বলছেন বারবার।
মঙ্গলবার বহু প্রতীক্ষিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গাজীপুর নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার পর দেশের মানুষ এখন খুলনা সিটি করপোরেশনের দিকে তাকিয়ে আছে। খুলনায় চলছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
সোমবার সকালে খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ব্যালট বাক্স, ব্রালট পেপারসহ আনুষাঙ্গিক পণ্যসামগ্রী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানা যায়, এবার প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এছাড়া নগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৮টি। এ নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্র রয়েছে ২৫৪টি এবং ৩৫টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এবার ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৫৬১টি। আর অস্থায়ী ভোট কক্ষ ৫৫টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ জন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী জানান, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ব্যালট পেপার, সিল, কালিসহ নির্বাচনী মালামাল খুলনায় এসেছে। এসব মালামাল বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এই নির্বাচনে ১ হাজার ৮১০টি ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হবে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের এসব মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিন উল আহসান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। ১৬ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নামানো হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সোমবার থেকে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।’